ব্লক অফিসে বামেদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
আমপান কাঁটায় বিদ্ধ হয়েই চলেছে রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল। এ বার তার আঁচ পড়ল প্রশাসনেও।
আমপানেপর ক্ষতিপূরণ বিলির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে আগেই সোচ্চার হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বৃহস্পতিবার তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিওকে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। একইভাবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করল বিজেপি।
এ দিন, আমরান নিয়ে বাম ও বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল হল কাঁথি-৩ ব্লক। সকালে সিপিএমের কর্মীরা মারিশদায় বিডিও অফিসের মূল গেট বন্ধ রেখে পতাকা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিডিও নেহাল আহমেদকে দফতরের ভিতরে আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। বেলা ১১টা থেকে দু'ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলায় ভিতরে ঢুকতে পারেননি বিডিও অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মী। পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল দাস বিডিও অফিসে ঢুকতে গেলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ দফতরে ঢুকতে না পেরে বাড়ি ফিরে যান। রাজ্যের প্রাক্তন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী ও সিপিএম নেতা চক্রধর মেইকাপের অভিযোগ, ‘‘বিডিওর কাছে আমরা স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি নিতে চাননি। তাই দলায় কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিডিও অফিসের গেটে বিক্ষোভ দেখান।’’
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙেছে বলে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে ব্লক প্রশাসন। তারপরেই ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা দাসের দেওর এবং ভাসুরকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা নিয়ে বিডিওর কাছে নালিশ জানিয়েছেন খোজ সভাপতি। তারপরও ওই পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের সমর্থক একটি পরিবারের পাঁচজনের নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় উঠেছে বলে অভিযোগ। যদিও তাদের বাড়িঘরের কোনও ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় সিপিএম নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তদের নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রশাসনিক অফিসে ঝোলানো এবং সর্বদলীয় মিটিং ডাকা, প্রশাসনিক তদন্ত করে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তাদের কাছ থেকে অর্থ ফেরতের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’’
কুসুমপুর পঞ্চাযেতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে এ দিন বিজেপির মহিলা কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি নেতা মানিক দাসের দাবি, ‘‘ পুরো তালিকা প্রত্যাহার করে ফের নতুনভাবে তদন্ত করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’’
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা দাস বলেন, ‘‘প্রশাসনকে তদন্ত করে দেখার জন্য বলেছিলাম। প্রশাসন কি তদন্ত করেছে তা বিডিও বলতে পারবেন।’’ এ বিষয়ে বিডিও নেহাল আহমেদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়। কিন্তু বলা হয়, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy