ধৃত বাপ্পাদিত্য মাহাতো।—নিজস্ব চিত্র।
কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত বাপ্পাদিত্য মাহাতো জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে বলে জানাল পুলিশ। তবে তার দাবি, পূজা মাহাতো নামে শালবনির ঢ্যাঙ্গাশোলের ওই কিশোরীকে সে ধর্ষণ করেনি। একা পেয়ে পূজাকে সে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। পূজা ভয়ে চিত্কার শুরু করে। তখনই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বাপ্পাদিত্য তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছে।
সম্পর্কে পূজার জ্যাঠতুতো দাদা বাপ্পাদিত্যকে সোমবার রাতে মেদিনীপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে মেদিনীপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুতনুকা নাগের এজলাসে হাজির করানো হয়। পুলিশ তাকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “তদন্ত চলছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
দশম শ্রেণির ছাত্রী পূজা খুন হয় গত বুধবার। বাপ্পাদিত্যের বাড়ি থেকেই বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় পূজার দেহ। নিহতের পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ দিকে, জেরায় বাপ্পাদিত্য ধর্ষণ করেনি বলে দাবি করলে তার সঙ্গে একমত হতে পারছে না পুলিশ। পুলিশের মতে, ওই যুবক জোর করে কিশোরীকে ধর্ষণেরই চেষ্টা করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের আরও অনুমান, বাপ্পাদিত্য ভেবেছিল, দেহ বস্তায় রেখে দিলে কেউ খোঁজ পাবে না। পরে রাতের অন্ধকারে সে ওই বস্তাবন্দি দেহ গভীর জঙ্গলে ফেলে দেবে। পরে জঙ্গলে দেহ উদ্ধার হলেও কেউ তাকে সন্দেহ করবে না। তাই পূজার মৃতদেহ উদ্ধারের আগে পর্যন্ত এলাকাতেই ছিল বাপ্পাদিত্য। কিন্তু দেহ উদ্ধারের পরে অবস্থা বেগতিক দেখে সে চম্পট দেয়। তারপর বাপ্পাদিত্য পলাতকই ছিল। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীরা মিছিল করেন। শালবনি থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
পুলিশের এক সূত্রে খবর, ঘটনার পর অন্য জেলায় গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। সোমবার এক সূত্র মারফত পুলিশের কাছে খবর আসে, বাপ্পাদিত্য মেদিনীপুরে এসেছে। তারপর রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ধৃত যুবককে নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসেন মামলার তদন্তকারী অফিসার অমিত অধিকারী। মেদিনীপুর মেডিক্যালে ধৃত যুবকের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা হয়। এরপর ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর আদালতে। এ দিন অভিযুক্তের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহত কিশোরীর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy