‘বেঙ্গল স্টেজ পারফর্মার্স গিল্ড’-সহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শনিবার পথে নামেন শিল্পীরা। নিজস্ব চিত্র।
কথা দিয়েও বিচিত্রানুষ্ঠানে আসেননি অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়! ক্ষোভে সঙ্গীত শিল্পীদের ‘হেনস্থা’ এবং ছ’দিন ধরে তাঁদের সরঞ্জাম আটকে রাখার অভিযোগ উঠছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার কাঁথিতে মিছিল করলেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় এবং লোপামুদ্রার মতো শিল্পীরা। সমাজমাধ্যমে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
কাঁথির বকশিশপুর গ্রামে ‘বকশিশপুর স্পোর্টস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র উদ্যোগে কালীপুজো উপলক্ষে গত ৩ এপ্রিল বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত সোমবারের বিচিত্রানুষ্ঠানের ‘অ্যারেঞ্জার’ ছিলেন কাঁথির বাসিন্দা সুমিত মাইতি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অভিনেত্রীর দেবশ্রীর। তার আগে কলকাতা থেকে আসা সঙ্গীত শিল্পীরা অনুষ্ঠান শুরু করেন। শিল্পীমহলের দাবি, যথা সময়েই কাঁথিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রায়দিঘির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী। যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেছিলেন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। অভিযোগ, সুমিত ফোন ধরেননি। সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও উদ্যোক্তারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করায় এবং কোনও পুলিশি নিরাপত্তায় ব্যবস্থা না থাকায় শেষমেশ গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতায় ফিরে যান দেবশ্রী। অভিনেত্রী আসবেন না শুনে ক্ষেপে যান দর্শকেরা। ভাঙচুর করা হয় প্যান্ডেল। শিল্পীদের দাবি, সারা রাত তাঁদের আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়। পর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁরা ছাড়া পান।
তবে ওই দিন থেকেই গানের দলের অন্তত ২৫ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ক্লাবের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, শিল্পীদের দাবি, সরঞ্জাম ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। যার জেরে বিপাকে পড়েন গানের দলের সদস্যেরা। তাঁদের বক্তব্য, এই ক'দিন তাঁরা অন্য কোথাও অনুষ্ঠান করতে পারেননি। বাড়িও ফিরতে পারছেন না। হোটেলে ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। অভিযোগ, এই বিষয়টি জুনপুট কোস্টাল থানায় জানানো হলেও সুরাহা হয়নি। তারই প্রতিবাদে ‘বেঙ্গল স্টেজ পারফর্মার্স গিল্ড’-সহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শনিবার পথে নামেন শিল্পীরা। দুপুরে কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি মিছিলও করেন তাঁরা। স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে।
এ ব্যাপারে সুমিতের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু তাঁর মোবাইল বন্ধ। তবে ওই ক্লাবের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের মধুরিমা মণ্ডলের স্বামী মানবেন্দ্রনাথ মণ্ডল পাঁচ লক্ষ টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। দেবশ্রী রায় না আসায় দর্শকদের বিক্ষোভের জেরে প্যান্ডেল, লাইট ও মাইকসেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুকিংয়ের সব টাকা এবং ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিলেই সব সামগ্রী ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। আমরাও চাইছি সমস্যার সমাধান হোক।’’
এ বিষয়ে ডিএসপি রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটে যাবে বলেই আমরা আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy