Advertisement
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
Signature Forgery

মাদ্রাসায় নিয়োগে সই জালের নালিশ

নরঘাট মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রে মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারক হিসেবে রয়েছেন শেখ আকসার আহমেদ।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩৯
Share: Save:

মাদ্রাসায় তিন শিক্ষকের নিয়োগের চিঠিতে জেলা সংখ্যালঘু আধিকারিকের সই জাল করার অভিযোগ উঠেছে। চণ্ডীপুর ব্লকের নরঘাট মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের এই ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের মুখ্য সম্প্রসারক, মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর করা হয়েছে। তদন্ত করেছে পুলিশ।

নরঘাট মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রে মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারক হিসেবে রয়েছেন শেখ আকসার আহমেদ। ওই শিক্ষা কেন্দ্রে ২০১৮ সাল থেকে শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন শেখ সাবির মল্লিক, রেবতী সেনাপতি ও পম্পা সামন্ত। তাঁরা কয়েক বছর বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। তাঁদের সরকারি ভাবে নিয়োগের জন্য ২০২২ সাল নাগাদ ওই মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারক আবেদন জানান জেলা মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরে। ২০২৩ সালে জেলার সংখ্যালঘু দফতরের কাছেও তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওই তিন শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে জেলা সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিকের সই করা চিঠি দেওয়া হয়েছিল মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রে। মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারক তিন শিক্ষকের চাকরির সরকারি অনুমোদনের জন্য জেলার সংখ্যালঘু দফতরে আবেদন করেন। সেখানে তিন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু চিঠিতে তাঁর সই জাল হয়েছে বুঝতে পারেন জেলা সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক। তিনি মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারকের কাছে জানতে চান, ওই চিঠি কোথা থেকে পেয়েছেন।

মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারক জানান, মাদ্রাস শিক্ষা দফতরের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই চিঠি দিয়েছেন। যদিও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সে কথা অস্বীকার করেন। জেলাপ্রশাসনের নির্দেশে জেলা সংখ্যালঘু আধিকারিক তাঁর সই জাল করে তৈরি নিয়োগপত্রের ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রের মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারক আকসার আহমেদ এবং অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ।

সংখ্যালঘু দফতরের জেলা আধিকারিক বিপ্লব সরকার বলেন, ‘‘একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’’ নরঘাট মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রের মুখ্য শিক্ষা সম্প্রসারক শেখ আকসার আহমেদের দাবি, ‘‘ওই তিন শিক্ষক ২০১৮ সাল থেকে কাজ করেছিলেন। তাঁদের জন্য জেলার মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরে আবেদন করি। মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আমাকে তিন শিক্ষকের নিয়োগের চিঠি দিয়েছিলেন। এর পরই আমি নিয়োগের সরকারি অনুমোদনের জন্য জেলা সংখ্যালঘু দফতরে আবেদন জানাই। কিন্তু সংখ্যালঘু আধিকারিকের দফতর থেকে জানানো হয়, নিয়োগের চিঠিতে সই জাল করা হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy