রামলালের পিঠে তখনও বিঁধে রয়েছে লোহার ফলা। — নিজস্ব চিত্র।
লোহার ফলায় বিদ্ধ ঝাড়গ্রামের স্থায়ী হাতি রামলাল। যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় ঘুরছিল সেটা। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। খবর পেয়ে ময়দানে নামে বন দফতর। চিকিৎসা করা হয়েছে ওই হাতিটির। তার দেহ থেকে ওই লোহার ফলা বার করা গিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্বভাবে শান্ত রামলাল নামে ওই স্থায়ী হাতিটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গ্রামগুলিতে। সোমবার জামবনি ব্লকের গিধনি রেঞ্জের আমতলিয়া এলাকার জঙ্গলে দেখা যায়, রামলালের পিঠে বিঁধে রয়েছে লোহার শলাকা। মুহুর্তেই সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্য়মে। হাতিটিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা যায়, বর্তমানে হাতিটি গিধনি রেঞ্জের আমতলিয়া বিটের চাঁদুয়ার জঙ্গল এলাকায় রয়েছে। এর পর ঘটনাস্থলে যান মুখ্যবনপাল (পশ্চিম চক্র) অশোক প্রতাপ সিংহ, ঝাড়গ্রাম এবং গিধনি রেঞ্জের বন আধিকারিকরা এবং চিকিৎসকরা। বন দফতর জানিয়েছে, দূর থেকে দড়ির সাহায্যে হাতিটির শরীর থেকে ওই লোহার ফলাটি বার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ওষুধও দূর থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতস্থানটি সেরে না ওঠা পর্যন্ত বনদফতর নজরে রাখবে রামলালকে।
বন দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে রামলাল নামে ওই স্থায়ী হাতিটি ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া রেঞ্জে অবাধে যাতায়াত করে। বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন আগে ওই হাতিটি চাকুলিয়া রেঞ্জের ঢুকেছিল। সেখান থেকে আসার পর দেখা যায় তার পিঠে লোহার ফলা বিঁধে রয়েছে। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বেরোতেও দেখা যায়। এ নিয়ে মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) অশোক প্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘কী ভাবে রামলালের দেহে ওই ফলা লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন বন দফতরের নজরে থাকবে রামলাল।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy