রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানির রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দিতে হবে। ডিএ মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয় বলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের রায় মেনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে হলে খরচ হবে ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। সরাসরি সরকারি কর্মচারী যাঁরা, তাঁদের জন্য লাগবে ১১ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্তদের জন্য লাগবে ১৮ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা এবং পেনশনভোগীদের ১১,৬১১ কোটি টাকা লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৪ নভেম্বর মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। হাই কোর্টে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে সে কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী। রাজ্যের দাবি, আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির লড়াই দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে অতীতেও মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়।
এর মধ্যেই ডিএ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা আগের রায়ই বহাল রেখেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy