Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
police

Kali Puja 2021: রসিদ ছাপিয়ে চাঁদা পুলিশের!

জেলার প্রায় প্রতিটি থানাতেই কালীপুজো হয়। কিন্তু রসিদ ছাপিয়ে চাঁদা তোলা নজিরবিহীন বলে অনেক পুলিশ আধিকারিকই জানাচ্ছেন।

সেই রসিদ।

সেই রসিদ। নিজস্ব চিত্র।

রঞ্জন পাল
বেলপাহাড়ি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০৪
Share: Save:

পুজোর মরসুমে চাঁদার জুলুম রুখতে যে পুলিশ নিয়মিত ধরপাকড় চালায়, সেই পুলিশই রীতিমতো রসিদ ছাপিয়ে কালীপুজোর চাঁদা তুলছে। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়িতে এমনই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি যে ‘বিরল’, তা জানাচ্ছে পুলিশ মহলই। সর্বনিম্ন চাঁদা ধার্য করা হয়েছে ১০১ টাকা। ঝাড়গ্রাম জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বেলপাহাড়ি থানার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে সমাজমাধ্যমে।

জেলার প্রায় প্রতিটি থানাতেই কালীপুজো হয়। কিন্তু রসিদ ছাপিয়ে চাঁদা তোলা নজিরবিহীন বলে অনেক পুলিশ আধিকারিকই জানাচ্ছেন। জেলার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। খতিয়ে দেখছি।’’ চাঁদার জন্য যে রসিদ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে লেখা পুজোর আয়োজনে ‘বেলপাহাড়ি থানা গ্রামরক্ষী বাহিনী সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটি’। পুজোর স্থান বেলপাহাড়ি থানা। এক যুবক সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘১৪ বছরে বেলপাহাড়ি কোনওদিন দেখিনি পুজোর জন্য থানা থেকে চাঁদা তুলতে। অথচ এই পুলিশই রাস্তায় চাঁদা তোলার বিরুদ্ধে কথা বলে। পুলিশের ভয়ে মানুষ মুখ বুজে ১০১ টাকা থেকে ৫০১ টাকা চাঁদা দিচ্ছেন’। বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় প্রতিটি দোকানে সাদা পোশাকে পুলিশ চাঁদা তুলেছে বলেও অভিযোগ।

বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গরাইয়ের কাছে স্থানীয় এক দোকানদার চাঁদা তোলার বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বেলপাহাড়ি থানার ওড়গোন্দা এলাকার একটি খাবারের দোকানের মালিক বলেন, ‘‘যে অফিসার এসে চাঁদা নিয়ে গিয়েছেন, তাঁকে আমরা চিনি। পাশের এক দোকানদার জানিয়েছিল ৫১ টাকার বেশি চাঁদা দেওয়া মুশকিল। তারপর পুলিশ চাঁদা নেয়নি। উল্টে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’’ বেলপাহাড়ি বাজার এলাকার এক দোকানদার বলেন, ‘‘৫০০ টাকা চাঁদা কেটেছিল পুলিশ। ভয়ে ৫০০ টাকাই দিয়ে দিয়েছি।’’

বেলপাহাড়ির এক ব্যবসায়ীকে আবার চাঁদা বাবদ পাঁচ বস্তা আলু চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী প্রথমে পাঁচ বস্তা আলু দিতে অস্বীকার করায়, তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে আসার পর বেলপাহাড়ি থানার আধিকারিকদের ‘ধমক’ দিয়েছেন জেলার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। জেলার ওই শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘‘গ্রামরক্ষী বাহিনীর নাম করে চাঁদা তোলা হয়েছে। এতে পুলিশের সম্পর্কে খারাপ বার্তা যাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE