Advertisement
E-Paper

পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না আকাশের

গত ২৪ অগস্ট নাবালিকা গণধর্ষণে ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজনকে ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু নাগাল পায়নি আর এক অভিযুক্ত আকাশের। আকাশের খুড়তুতো দাদা মানস মণ্ডল কোলাঘাট থানার অধীনে একজন ভিলেজ পুলিশ। বাবা সাধন মণ্ডল তৃণমূলের বুথ স্তরের সক্রিয় কর্মী বলে এলাকাবাসীর দাবি।

পুলিশের জালে আকাশ মণ্ডল

পুলিশের জালে আকাশ মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৮
Share
Save

পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে শেষ পর্যম্ত গণধর্ষণ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আকাশ মণ্ডল ধরা পড়লেও কেন তাকে এতদিন ধরা যায়নি তা নিয়ে রাজনেতিক প্রভাবের অভিযোগ তুলল বিজেপি।

গত ২৪ অগস্ট নাবালিকা গণধর্ষণে ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচজনকে ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু নাগাল পায়নি আর এক অভিযুক্ত আকাশের। আকাশের খুড়তুতো দাদা মানস মণ্ডল কোলাঘাট থানার অধীনে একজন ভিলেজ পুলিশ। বাবা সাধন মণ্ডল তৃণমূলের বুথ স্তরের সক্রিয় কর্মী বলে এলাকাবাসীর দাবি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, দাদা ভিলেজ পুলিশ ও বাবা শাসক দলের কর্মী হওয়ায় পুলিশ অভিযুক্তকে আড়াল করছে।

কিন্তু কী ভাবে রাজ্যের বাইরে পালাল আকাশ? স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, টাকা ও বাবা ও দাদার প্রভাব, দুইয়ের জেরে গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়েছিল আকাশ। যদিও ভাইকে আড়াল করার কথা অস্বীকার করেছেন দাদা মানস। ভাইয়ের গ্রেফতারি নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘আমি কোনভাবেই ভাইকে আড়াল করিনি। পুলিশ আমাকেও অনেকদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।’’ আর আকাশের গ্রেফতারির পর পুলিশের দাবি, ‘‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’’

তমলুকে এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুলিশ কোনওভাবেই আকাশকে আড়াল করার চেষ্টা করেনি। অভিযুক্ত ঘন ঘন স্থান বদল করায় তাকে ধরতে একটু বেগ পেতে হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছি।’’

কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজারে আকাশের হারমোনিয়ামের দোকান রয়েছে। দোকানটি মূলত চালায় সে ও তার বাবা। বাবা শাসক দলের কর্মী ও দাদা পুলিশের লোক হওয়ায় এলাকায় দাপট বাড়াতে আকাশ তার সুযোগ নিত, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। কাঁচরোল গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, আগেও আকাশের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ উঠলেও কেউ তার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখায়নি।

কোলাঘাটের বাসিন্দা তথা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক দেবব্রত পট্টনায়েক বলেন, ‘‘দাদা একজন ভিলেজ পুলিশ হওয়ায় ও পরিবার শাসক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় পুলিশ প্রথমে আকাশকে গ্রেফতার করেনি। পরে আমাদের আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে।’’ নির্যাতিতার মৃত্যুর পর দেউলিয়া বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভানেত্রী ভারতী ঘোষ। এদিন আকাশ গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না দিলে আমরা ফের পথে নামব।’’

যদিও বিজেপির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি মদন মোহন মিশ্র বলেন, ‘‘সবই ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। বিজেপি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এ সব মন্তব্য করছে।’’

Rape accused Kolaghat Akash Mandal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}