মারিশদার লোকাল বোর্ডে বসেছে বাতিস্তম্ভ। —নিজস্ব চিত্র।
অনুন্নয়ন আর বঞ্চনার অভিযাগে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। তাতে পূর্ব মেদিনীপুরের সেই মারিশদা পঞ্চায়েতে ফুটেছে পদ্ম। দাবি, তার পরেই ওই পঞ্চায়েতে উন্নয়ন শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব কৃতিত্বদাবি করলেও রাজ্যের শাসক শিবিরের প্রতিক্রিয়া, রাজ্যে যে উন্নয়নে ভেদাভেদ হয় না, এটা তারই প্রমাণ।
দু’বছর আগে ৩ ডিসেম্বর কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে সভা করেন অভিষেক। সভার আগে লোকাল বোর্ডে ১১৬বি জাতীয় সড়কে গাড়ি থেকে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের মুখে মারিশদা পঞ্চায়েত এলাকায় অনুন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভের কথা শোনেন। তার পরে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান আর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে অভিষেকসরিয়ে দেন।
গত বছর পঞ্চায়েত ভোট আর এ বছর লোকসভা নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েত এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে। এর পরে সম্প্রতি লোকাল বোর্ড, করণ মোড়, ঘোড়াই পাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিলে বসেছে ছ’টি হাইমাস্ট। বুধবার সন্ধ্যায় সেগুলির উদ্বোধন করেন বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা রাজশেখর মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের দু’টি তহবিল থেকে প্রাপ্য টাকায় পথবাতি বসিয়েছি। এলাকায় যা উন্নয়ন হয়েছে, সবটাই গত এক বছরের। ৪২ বছর ধরে এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল আর কংগ্রেস। তারা কিছুই করেনি।’’
এলাকায় যে উন্নয়ন হচ্ছে, সে কথা মানছেন স্থানীয়রাও। লোকাল বোর্ড বাস স্টপের গায়ে চায়ের দোকানদার বলছেন, ‘‘গত বছর থেকে দেখছি ধীরে ধীরে রাস্তা হচ্ছে। পানীয় জলের পাইপ পাতা হয়েছে।’’ লোকাল বোর্ড এবং সংলগ্ন গ্রামগুলিতে রাস্তা, নিকাশি নালা, গার্ডওয়াল নির্মাণ হয়েছে। পানীয় জলের জন্য সাব মার্সিবল বসেছে। পঞ্চায়েতের প্রধান শশাঙ্কশেখর মাইতি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সাধ্য মতো উন্নয়নের চেষ্টা করছে।’’ কাঁথি ৩ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর মিশ্রের দাবি, ‘‘রাজ্যে উন্নয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূল যে ভেদাভেদের রাজনীতি করে না, এতেই তা প্রমাণিত।’’
যেখানে নতুন পথবাতি বসেছে, সেখান থেকে কয়েক পা দূরে রয়েছে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি। এখানে একটি বাড়িতেই এসে প্রথমে উঠেছিলেন অভিষেক। ওই বাড়ির বাসিন্দা বৃদ্ধা আলপনা বানিয়া বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে যাওয়ার পর অনেকেই এসেছেন। বাড়ির পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তবে কয়েক মাস হল বিধবা ভাতা পাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy