নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ অসমাপ্ত। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকে। নিজস্ব চিত্র।
গত বছর বন্যার জলে দফায় দফায় নদীবাঁধ ভেঙেছিল। প্লাবিত হয়েছিল চন্দ্রকোনার দু’টি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা। এবার যাতে ওই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য শুরু হল আগাম প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার চন্দ্রকোনা ২ ব্লক অফিসে (বিডিও) বৈঠক হয়। সেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে দু’টি ব্লকের সমস্ত দুর্বল নদীবাঁধ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, চন্দ্রকোনা ১ এর বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী, চন্দ্রকোনা ২ এর বিডিও অমিত ঘোষ, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকেরা। মহকুমাশাসক সেচ দফতরের (কংসাবতী প্রকল্প) আধিকারিকদের দ্রুত দুর্বল নদীবাঁধ চিহ্নিত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রায় প্রতি বছরই নিয়ম করে চন্দ্রকোনার দু’টি ব্লকের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়। গত বছরেও একাধিক নদীবাঁধ ভেঙে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর, ভগবন্তপুর-১ ও ২, বসনছড়া এবং চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মনোহরপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এরপরেও গত এক বছরে কেঠিয়া ও শিলাবতী নদীর বাঁধগুলির অধিকাংশের সংস্কার হয়নি। এখন চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ৮ কিলোমিটার নদীবাঁধ দুর্বল। বিশেষ করে চৈতন্যপুর, চাষিবাড়, ধর্মপোতা, কল্লা, ধাইখন্ড প্রভৃতি এলাকায় নদীবাঁধগুলির খুব খারাপ পরিস্থিতি। বান্দিপুর ১ পঞ্চায়েতের বাগপোতায় নদীবাঁধও সংস্কার হয়নি। চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মনোহরপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হীরাদরপুর, মথুরাপুর, কামারগেড়িয়া, সীতারামপুরেরও প্রায় দু’কিলোমিটার নদীবাঁধ দ্রুত সংস্কার জরুরি।
নদীবাঁধ ছাড়াও বন্যা মোকাবিলায় পঞ্চায়েত-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক থাকার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। চন্দ্রকোনা ১ ও ২ এর বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী এবং অমিত ঘোষ বলেন, “বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি বৈঠক করা হল। মহকুমাশাসক উপস্থিত ছিলেন। নদীবাঁধ-সহ প্রস্তুতির খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy