প্রতীকী ছবি।
ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই পরিকল্পিতভাবে খুন হয়েছেন যুবতী। তদন্তে জানতে পারল পুলিশ।
গত শনিবার কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুর পঞ্চায়েতের রাঙটিয়া এলাকায় যুবতী শকুন্তলা মল্লিক খুনের ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম তপন মান্না। অভিযোগ ছিল, পাশের গ্রামের তপনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শকুন্তলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের কথা পুলিশে জানিয়েছিলেন বিবাহিত ওই যুবতীর কাকা বাবলু দণ্ডপাট। রবিবার বিকেলে এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ফোন করে শকুন্তলাকে ডাকে তপন। মাঠের মাঝে বসে দু’জনেই মদ খায়। পরে নেশার ঘোরে পরিকল্পিতভাবে খুন করে সে। খড়্গপুরের ডিমৌলির শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে বাপের বাড়ি রাঙটিয়াতে আট বছরের মেয়েকে নিয়ে একা থাকতেন শকুন্তলা। তার স্বামী কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন। স্বামী- স্ত্রীয়ের দীর্ঘ কয়েকবছর কোনও সম্পর্ক ছিল না। তাঁদের সতেরো বছরের ছেলে খড়্গপুরেই থাকে। শকুন্তলার মা-বাবা কয়েকবছর আগেই মারা যান। তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন শকুন্তলা। সেখানেই পাশের গ্রামের তপনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তপনের পাশাপাশি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল শকুন্তলার। তা মানতে পারেনি তপন। তাই খুনের পরিকল্পনা করে তপন।
জেরায় পুলিশকে তপন জানিয়েছে, মদ খাওয়ার পর ধারালো কিছু দিয়ে শকুন্তলার গোপনাঙ্গে পর পর আঘাত করেছিল সে। মাথায় ও শরীরে ভারী কিছু দিয়েও আঘাত করা হয়। সে সময় গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের মাইক বাজছিল। ফলে কেউ কিছু জানতে পারেনি। শনিবার সকালে যুবতীর বাড়ির কিছুটা দূরে মাঠ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে খড়্গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে পুলিশ পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। বেলদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমনকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার সময় তপন একাই ছিল। পুরো ঘটনা অভিযুক্ত স্বীকার করেছে। অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy