দেবাঙ্কিতা বেরা। — নিজস্ব চিত্র।
সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-য় অভাবনীয় ফল করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ছাত্রী দেবাঙ্কিতা বেরা। সারা দেশে ২২তম স্থান দখল করেছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যে তিনি দখল করেছেন তৃতীয় স্থান। বরাবর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। এ বার পূরণ হতে চলেছে সেই স্বপ্ন।
আদ্যন্ত বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন দেবাঙ্কিতা। এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আনার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই নিয়মিত প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে ফলাফলের চিন্তা কখনও করিনি।’’
দেবাঙ্কিতা মাধ্যমিক পাশ করেছেন ২০২০ সালে। তাঁর পড়াশোনা মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলে। মাধ্যমিকে রাজ্যে সেরা একাদশে ঠাঁই পেয়েছিলেন দেবাঙ্কিতা। এর পর মহিষাদল রাজ হাইস্কুল থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন ২০২২ সালে। সে বারও রাজ্যে সেরা ১২ জনের মধ্যে ছিলেন মহিষাদলের এই কৃতী ছাত্রীর। মাধ্যমিকের পর থেকেই মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন দেবাঙ্কিতা।
বুধবার নিটের ফল প্রকাশের পর খুশির হাওয়া অঙ্কিতার পরিবারে। অঙ্কিতা বরাবরই পড়াশোনায় খুব ভাল বলে জানিয়েছেন মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা গিরি। তিনি বলেন, ‘‘মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধমিকের পর এ বার নিট পরীক্ষাতেও দেবাঙ্কিতার এই সাফল্য জেলা তথা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছে।’’
দেবাঙ্কিতার বাবা এবং মা দু'জনেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। বাবা গণিতের শিক্ষক। তাঁর মা বাংলার শিক্ষিকা। দেবাঙ্কিতার বাবা দেবাশিস বেরার কথায়, ‘‘আমার মেয়ে রাজ্যে তৃতীয় স্থান দখল করায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ওর জন্য শুভেচ্ছা বার্তা আসছে। আগামিদিনে দিল্লি এমসে পড়বে ও। মেয়ে সফল চিকিৎসক হয়ে উঠুক এটাই চাই।’’
সাফল্যের মন্ত্রগুপ্তি শোনালেন দেবাঙ্কিতাও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ফলের আশা না করেই চিরকাল প্রস্তুতি নিয়েছি। এ বার চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy