Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্মল বাংলায় ৭৬ হাজার নতুন শৌচাগার হচ্ছে জেলায়

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই প্রকল্পে শৌচাগারহীন পরিবারে শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আনন্দ মণ্ডল
তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩১
Share: Save:

প্রতি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ, তার ব্যবহার নিশ্চিত করা-সহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্প চালু করেছিল। বছর চারেক আগের ওই প্রকল্প অনুযায়ী যে সব বাড়িতে শৌচাগার নেই, সেই সব পরিবারকে নতুন শৌচাগার তৈরির জন্য সরকারিভাবে সাহায্য দেওয়া হয়। প্রতিটি শৌচাগার তৈরির জন্য ১০ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে উপভোক্তাকে ৯০০ টাকা দিতে হয়। বাকি ১০ হাজার টাকা সরকারি সাহায্য হিসাবে উপভোক্তাকে দেওয়া হয়।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই প্রকল্পে শৌচাগারহীন পরিবারে শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর প্রথম দফায় জেলায় প্রায় সব পরিবারে শৌচাগার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে শৌচাগার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাসিন্দাদের সচেতন করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলার অনেক পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আবর্জনা থেকে জৈব সার তৈরির প্রকল্প চালু হয়েছে। সার্বিকভাবে এই প্রকল্পে সাফল্যের জন্য গত বছর ‘নির্মল জেলা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।

কিন্তু ইতিমধ্যে জেলায় আরও অনেক নতুন বসতবাড়ি তৈরির পাশাপাশি বহু পরিবারে বিভাজনের ফলে নতুন করে শৌচাগার তৈরির প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। এর জন্য ওইসব পরিবারকে চিহ্নিত করে চলতি বছরে জেলায় নতুন করে প্রায় ৭৬ হাজার শৌচাগার তৈরির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘অনেক নতুন বাড়ি তৈরি ও পরিবার বিভাজনের ফলে যে সব পরিবারে শৌচাগার নেই সেইসব পরিবারে শৌচাগার তৈরির জন্য জেলায় নতুন করে প্রায় ৭৬ হাজার শৌচাগার তৈরি করা হবে। সমীক্ষা করে জেলায় এইসব শৌচাগারহীন পরিবারকে চিহ্নিত করে শৌচাগার তৈরির ব্যবস্থা হয়েছে। জেলার প্রতি ব্লকে শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও দেওয়া হয়েছে। শৌচাগার তৈরির উপভোক্তা পরিবারকে ৯০০ টাকা দিতে হবে বাকি প্রায় ১০ হাজার টাকা সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে।’’

জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, ময়না ব্লকে প্রায় ৪ হাজার নতুন শৌচাগার নির্মাণ করা হবে। ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘শৌচাগার তৈরির জন্য উপভোক্তাদের তালিকা অনুযায়ী ওই সব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় ধরে ওই কাজ শেষ করার চেষ্টা হবে।’’

তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১ পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘মিশন বাংলা নির্মল প্রকল্পে প্রথম দফায় আমাদের পঞ্চায়েত এলাকার ৪৭৫টি পরিবারে শৌচাগার তৈরি শেষ হয়েছে। নতুন বাড়ি তৈরি ও পরিবার বিভাজনের ফলে যে সব বাড়িতে শৌচাগার প্রয়োজন রয়েছে এরকম ১৬১ টি পরিবারের শৌচাগার তৈরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Toilet Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy