হুঁশ ফেরেনি এখনও। খুদের মুখে নেই মাস্ক। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র
মাঝে এক দিনের স্বস্তি শেষ। মঙ্গলবার রাতে নতুন করে ছয় জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এল খড়্গপুর শহরে।
মঙ্গলবার রাতে আসা রিপোর্টে যাঁদের পজ়িটিভ এসেছে তাঁদের মধ্যে চারজন গোলবাজারের জনতা মার্কেটের একটি পরিবারের সদস্য। দিন কয়েক আগেই ওই পরিবারের সদস্য এক প্রবীণ ব্যবসায়ী কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি করোনা পজ়িটিভ বলে জানা যায়। সেই সূত্রে তাঁর দুই ছেলে ও দুই নাতি করোনা আক্রান্ত হলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রেল হাসপাতালে সদ্য প্রশিক্ষণে আসা এক চিকিৎসকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে রেল হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও এক নার্সও আক্রান্ত হয়েছিলেন। নিউ সেটলমেন্টের বাসিন্দা এক রেলকর্মীও করোনা পজ়িটিভ বলে জানা গিয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সংক্রমিত হয়েছেন ডেবরার বাকলসায় দুই বাসিন্দা। তাঁরা কয়েকদিন আগে মৃত পোস্টমাস্টারের মা ও দাদা। মৃত্যুর পরে ওই পোস্টমাস্টারের দেহ ১৪ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়েছিল। তারপরেই তাঁর মা ও দাদার জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়।
অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, “গোলবাজারের করোনা আক্রান্ত ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের চারজন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রেল হাসপাতালের প্রশিক্ষণরত এক চিকিৎসক ও রেলকর্মীর রিপোর্ট পজ়িটিভ বলে জানা গিয়েছে। ডেবরায় মৃত পোস্টমাস্টারের পরিবারের দুই সদস্য পজিটিভ হয়েছেন। ওই দু’জন আগে থেকেই করোনা হাসপাতালে রয়েছেন।”
সোমবার রাতে নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হলেও আট জনের রিপোর্ট অমীমাংসিত ছিল। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন ওই ছ’জন। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবাও। রেল হাসপাতালে আপাতত রোগী ভর্তি বন্ধ। গোলবাজারের ব্যবসায়ী পরিবারে সংক্রমণের জেরে শহরের ছোট ট্যাংরার একটি নার্সিংহোম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগে অসুস্থ হওয়ায় প্রথমে সেখানেই ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। ওই নার্সিংহোমের প্রধান চিকিৎসক অনিরুদ্ধ ঘোড়ই আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তিনিও স্বেচ্ছায় গৃহ পর্যবেক্ষণে গিয়েছেন।
গোলবাজারের ব্যবসায়ী পরিবারের চার আক্রান্তকে ‘হোম আইসোলেশনে’ রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, “আজ না হোক কাল হোম আইসোলেশন চালু করতেই হবে। আমরা এই ব্যবসায়ী পরিবারের চার সদস্যকে দিয়েই আক্রান্তদের হোম আইসোলেশন শুরু করলাম।”
ঘাটাল মহকুমায় নতুন করে ১৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন দাসপুরের ১১ ও ঘাটালের ২ জন। তাঁদের শালবনি করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, দাসপুরে ১১ আক্রান্তদের মধ্যে তিন জন পরিযায়ী শ্রমিক। একজন দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক কর্মীর আত্মীয়। বাকিরা কর্মসূত্রে বাইরে বেরিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘাটালের দু’জন আক্রান্তই পরিযায়ী শ্রমিক। সম্প্রতি তাঁরা মুম্বই থেকে ঘাটাল ফিরেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গণ্ডিবদ্ধ এলাকাগুলিতে লকডাউন চলছে। আজ, বৃহস্পতিবার ও শনিবার গোটা রাজ্যে লকডাউন। এই দু’দিন জরুরি প্রয়োজনা ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করে ঘাটাল-দাসপুর ও চন্দ্রকোনায় মাইকিং করে প্রচার করে পুলিশ। লকডাউন অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy