প্রতীকী ছবি
লকডাউন পরিস্থিতিতে ভাতা প্রাপকদের অন্তর্বর্তী ভাতা (এক্স- গ্রাসিয়া) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই মতো জেলায় এসে পৌঁছেছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এর ফলে উপকৃত হবেন প্রায় ১ লক্ষ ভাতা প্রাপক। ইতিমধ্যে জেলা থেকে টাকা ব্লকে পাঠানো হয়েছে। ব্লক থেকে ওই টাকা সরাসরি ভাতা প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। প্রথম পর্যায়ে অন্তর্বর্তী ভাতা হিসেবে ভাতা প্রাপকেরা ৫০০ টাকা করে পাবেন। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রয়োজনীয় নির্দেশও এসে পৌঁছেছে জেলায়। নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রতিমা দাস মানছেন, ‘‘ওই এক্স- গ্রাসিয়ার টাকা জেলায় এসেছে। জেলা থেকে টাকা ব্লকে নামানো হয়েছে।’’ প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহের মধ্যে ভাতা প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অন্তর্বর্তী ভাতার টাকা পৌঁছে যাবে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, লকডাউন পরিস্থিতিতে গরিব মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। ভাতা প্রাপকেরাও সমস্যায় রয়েছেন। তাঁদের হাতে নগদ অর্থের জোগান কমেছে। গরিব মানুষের কষ্টের কথা ভেবে মানবিকতার দিকটি বিবেচনা করেই অন্তর্বর্তী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে জেলায় ভাতা প্রাপক রয়েছেন ৯৭,০৬২ জন। এর মধ্যে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপক— তিন ধরনের উপভোক্তাই রয়েছেন। বার্ধক্য ভাতা পান ৫৭,৩৬৯ জন। এর মধ্যে অনূর্ধ্ব ৮০ বছর বয়সী ৩৭,৬৪৬ জন। ৮০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন ১৯,৭২৩ জন। বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। বিধবা ভাতা পান ৩৫,২৩৩ জন। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে, প্রতিবন্ধী ভাতা পান ৪,৪৬০ জন। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ২২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরে ওই তিন ধরনের অন্তর্বর্তী ভাতার (এক্স- গ্রাসিয়া) ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩১ হাজার।
সমাজকল্যাণ দফতরের অধীনও অনেকে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পান। ২০১১ সাল থেকে রাজ্য সরকার এই ভাতা চালু করেছে। প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতার পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এঁদের অন্তর্বর্তী ভাতা দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে যাঁরা ভাতা পান, তাঁদেরই অন্তর্বর্তী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এঁদেরও এখন প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতার পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে। আগে ভাতার পরিমাণ কম ছিল। এই ভাতা প্রাপকদের ইতিমধ্যে এপ্রিল এবং মে- এই দু’মাসের ভাতা বাবদ ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ বার এঁরা অন্তর্বর্তী ভাতা পেতে চলেছেন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ৯৭,০৬২। সংখ্যাটা কম নয়। নথিভুক্ত সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই এক্স- গ্রাসিয়ার টাকা পৌঁছবে। হাতে নগদ অর্থ পেলে নিশ্চিতভাবে এই সময়ে ওঁদের জীবনধারণ কিছুটা সুবিধাজনক হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy