উদ্ধার হওয়া অক্টোপাস। নিজস্ব চিত্র
এক দিনের মধ্যেই দিঘায় ফের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল অক্টোপাস। শনিবার দিঘা লাগোয়া খাদালগোবরা গ্রামের এক মৎস্যজীবী বাচ্চু দোলাইয়ের জালে দু’টি অক্টোপাস জড়িয়ে যায়। ধার পড়ার সময় সেগুলি জীবিত ছিল। মৎস্যজীবীরা অক্টোপাস দু’টিকে সৈকতে নিয়ে আসে। তারপর দিঘার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ এসে ওই দু’টি অক্টোপাসকে নিয়ে যায়।
শুক্রবারই দিঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের জাল একটি বড়সড় অক্টোপাস জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েছিল। সেটিও মৎস্যজীবীরা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, এ দিন ধরা পড়া অক্টোপাস দু’টিও বেশ বড়। গত কয়েকদিনে দিঘা এলাকায় মোট পাঁচটি অক্টোপাস উদ্ধার হয়েছে। সব ক’টিই জীবিত ছিল। সেগুলির বর্তমান ঠিকানা দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম।
বারবার দিঘা এলাকায় মৎস্যজীবীদের জালে অক্টোপাস ধরা পড়ছে কেন, সে নিয়ে ধন্দে মৎস্যজীবীরাও। এলাকায় কী তা হলে অক্টোপাসের সংখ্যা বেড়েছে! এ ব্যাপারে সমুদ্র বিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিঘা এলাকায় অক্টোপাস বারবার পাওয়া বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এই অক্টোপাসগুলি যে প্রজাতির, সেগুলি মূলত ভারত মহাসাগরের গভীর সমুদ্রে থাকে। কিন্তু বর্তমানে গভীর সমুদ্রে ট্রলিং এবং ফিশিংয়ের পরিমাণ খুব বেড়ে গিয়েছে। মাছ ধরার চাপে ওই অক্টোপাসগুলি হামেশাই দলছুট হয়ে পড়ছে। ওই দলছুট অক্টোপাসগুলি দিঘার উপকূলে মৎস্যজীবীদের জালে উঠছে।’’ আনন্দবাবু আরও একটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘দলছুট হওয়া ছাড়াও অক্টোপাস গুলি এই সময় সৈকতের দিকে আসে। এই সময়টি ওদের প্রজনন কাল। প্রজননের সময় অনেক অক্টোপাস সমুদ্রের সৈকতের দিকে চলে আসে। সে সময়ও তারা জালে ধরা পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy