রাজ্য সড়কে চাঁদা আদায় করায় ছ’জনকে আটক করল তমলুক থানার পুলিশ। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে থানার পাশেই তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে গাড়ি আটকে চাঁদা আদায় করছিলেন স্থানীয় একটি ক্লাবের ওই ছয় সদস্য। কালীপুজোর আগে এ ভাবে গাড়ি আটকে চাঁদা তোলার বা জুলুমের ঘটনা নতুন নয়। জেলা পুলিশের দাবি,
এ বার হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক, ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক, হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক, মেচেদা-দিঘা রাজ্য সড়ক তো বটেই গ্রামীণ সড়কগুলিতেও নিয়মিত টহলদারি চালানো হচ্ছে। তাই অভিযোগও কম। তবে কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে গাড়ি আটকে চাঁদা তোলার ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত পদক্ষেপও করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের নাকের ডগায় এ দিন একদল যুবক টোটো আটকে চাঁদা তুলছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ অবশ্য তাঁদের আটক করে।
অন্য দিকে, রাস্তা আটকে চলছে চাঁদা আদায়ের জেরে বিভিন্ন রাস্তায় তৈরি হয়েছে যানজটও। অভিযোগ, ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন রাস্তায় প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় চলছে, তবু পুলিশ নীরব দর্শক। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, মাঝে মধ্যেই অভিযান চলছে। পুলিশের গাড়ি দেখলেই চম্পট দিচ্ছে আদায়কারীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘাটাল মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সড়ক ঘাটাল-পাঁশকুড়া ও ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের মধ্যে একাধিক এলাকায় প্রকাশ্যেই বাস-লরি সহ অনান্য গাড়ি ঘিরে চাঁদা আদায় চলছে। শুধু তাই নয়, ঘাটাল মহকুমার ইড়পালা, গোপীগঞ্জ, রসকুন্ডু, আরামবাগ, নাড়াজোল, ঝাঁকরা-সহ বিভিন্ন সড়কেই একই চিত্র। নাম প্রকাশে এক বাস মালিকের অভিযোগ, “প্রতি থানায় কালীপুজো হয়। ফলে পুলিশও তো বিভিন্ন ভাবে চাঁদা আদায় করছে। তাই ক্লাব বা পুজো উদ্যোক্তারা রাস্তা আটকালে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy