জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সচিবদের বদলি করা হয়েছে অন্য ব্লকেই।
কয়েকদিন আগে জেলার ৯৫ জন পঞ্চায়েত এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টের (ইএ) বদলি হয়েছেন। এ বার একই দিনে ১৪২ জন পঞ্চায়েত সচিবের বদলির নির্দেশ হল। চলতি সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর হবে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্র মানছে, দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে এতজন পঞ্চায়েত সচিবের বদলি হল জেলায়। গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে প্রশাসনিকভাবে যে ক’টি পদ গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে এটি অন্যতম। জেলা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, এটি রুটিন বদলি।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সচিবদের বদলি করা হয়েছে অন্য ব্লকেই। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা যে ব্লকে ছিলেন, সেই ব্লকে তাঁদের রাখা হয়নি। তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, সম্প্রতি দলের জেলা কোর কমিটির বৈঠকে পঞ্চায়েত- দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল। দলের একাংশ প্রধান, উপপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে। দলের একাংশ প্রধান, উপপ্রধানের ভূমিকা যে ঠিকঠাক থাকে না তা মেনে নেন কোর কমিটির সদস্যদের একাংশ। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য ছিল, শুধু দলের প্রধান- উপপ্রধানদের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন একাংশ প্রশাসনিক আধিকারিকও। কিছু সময়ে তাঁরাও প্রধান, উপপ্রধানকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন চেকে সই করিয়ে নেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকের পর তৃণমূলের এক সূত্র থেকে প্রশাসনের এক সূত্রের কাছে বার্তা পাঠানো হয় যে, পঞ্চায়েতে যে সব প্রশাসনিক আধিকারিকেরা দীর্ঘ সময়ে রয়েছেন, তাঁদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু হলে দলের কোনও আপত্তি থাকবে না। কারও বদলি নিয়ে দল কোনও ‘সুপারিশ’ও করবে না।
ঘটনাচক্রে, এরপরই পঞ্চায়েতস্তরে বদলি শুরু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সচিব, নির্মাণ সহায়ক, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সহায়ক- গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে প্রশাসনিকভাবে এই চারটি পদ গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৩৮ জন পঞ্চায়েত এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। কয়েকদিন আগে ৯৫ জনেরই বদলি হয়েছে। এঁদের বদলি করা হয়েছে অন্য ব্লকেই। এ বার একইভাবে বদলি হলেন ১৪২ জন পঞ্চায়েত সচিব। জেলায় ১৪২ জনই পঞ্চায়েত সচিব রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪২ জন পঞ্চায়েত সচিব রয়েছেন। সকলেরই বদলির নির্দেশ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর হবে।’’
শাসক দল অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘এটা একেবারেই প্রশাসনিক ব্যাপার।’’ তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সম্পাদক অনুপকুমার মান্নার কথায়, ‘‘যা হয়েছে নিয়মমাফিকই হয়েছে।’’ সিপিএম প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো- অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গঙ্গাধর বর্মনের মতে, ‘‘অনেক সময়ে সচিবদের অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy