বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির দখল নিতে মরিয়া তৃণমূল। গত বছর ২ জুন পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তখন মনোনয়ন-পর্বও শেষ হয়। পরে অবশ্য রাজ্য সমবায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। অবশেষে আগামী ১০ মার্চ নির্বাচনের দিন চূড়ান্ত হয়েছে।
এ বার কোন্দল দূরে সরিয়ে পরিচালন সমিতির দখল নিতে তত্পর তৃণমূল। এ জন্য দলের দু’জন প্রার্থী প্রচারপত্র বিলি করে প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের কথাও ঘোষণা করেছেন। বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে দেখভাল করতে জেলা তৃণমূলের তরফে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির কনভেনর প্রদ্যোত্ ঘোষ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। তিনি বলেন, “বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবেই লড়াই করব। আমাদের লড়াই সিপিএমের বিরুদ্ধে। আগে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে!”
এই ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার মেদিনীপুরে তৃণমূলের এক বৈঠক হওয়ার কথা। তাতে থাকার কথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি, তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের। শুভেন্দুবাবুও এই ব্যাঙ্কের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ১২ জন (ডিরেক্টর)। এই সংখ্যক পদেই নির্বাচন হবে।
জেলার কৃষি ক্ষেত্রে এই সমবায় ব্যাঙ্কের গুরুত্ব যথেষ্ট। দুই মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মোট ৩৮টি শাখা রয়েছে। বাম আমলে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে সিপিএমের নিয়ন্ত্রণ ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পরিস্থিতি পাল্টায়। কর্মীদের একাংশ ‘বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ নামে ডানপন্থী সংগঠন গড়েন। গত বছরের ২ জুন ব্যাঙ্কের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই সম্মুখ-সমরে নেমে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।
এক দিকে ছিলেন মুকুল রায়ের অনুগামীরা। অন্য দিকে, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। দলের অন্দরে সমঝোতার চেষ্টা হয়েছিল। তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি। মূলত, দু’টি আসনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দু’পক্ষ প্রচারে নেমে পড়ে। একপক্ষ প্রচারপত্র ছাপিয়ে দু’টি আসনে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী এবং মধুসূদন গাঁতাইতকে নির্বাচিত করার আবেদন জানায়। অন্যপক্ষ প্রচার করে মধুসূদনবাবু দলের মনোনীত প্রার্থী হন। ওই দু’টি আসনে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী হলেন শুভেন্দু এবং নারায়ণ সাঁতরা। মধুসূদনবাবু মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের (বালক) সহ-শিক্ষক। শুভেন্দু-অনুগামী হিসেবে পরিচিত। আর নয়াগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণবাবুর পরিচিত মুকুল-ঘনিষ্ট হিসেবে। তৃণমূলের প্রচার-পাল্টা প্রচার যখন জমে উঠেছে, তখনই বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় রাজ্য সমবায় নির্বাচন কমিশন।
এ বার অবশ্য কোন্দল নিয়ন্ত্রণে তত্পর তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে তৃণমূলের দু’জন প্রার্থী প্রচারপত্র দিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন নারায়ণবাবুও। তিনি বলেন, “দলের নির্দেশেই প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy