কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সুরেশের মা ও পরিজনরা। ছবি:পার্থপ্রতিম দাস।
বাড়ির পাশ থেকে তরুণ-তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার জশাড় গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুরেশ মণ্ডল ( ২২) ও পিয়া দিন্দার (১৮) আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়নি। তবে হাতে শাঁখা ও কপালে সিঁদুর পরা অবস্থায় ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। পাশে পড়ে ছিল সিঁদুরের প্যাকেট। দু’জনের পরিবারের তরফে এই বিষয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই দুই তরুণ-তরুণীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও মেয়ের পরিবার তাঁদের বিয়েতে মত না দেওয়ায় দু’জনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাটের বৈষ্ণবচক গ্রামপঞ্চায়েতের জশাড় গ্রামে একই পাড়ার বাসিন্দা যুবক সুরেশ ও পিয়ার তিন বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। বাণিজ্যে স্নাতক সুরেশ বাবেসরকারি সংস্থায় চাকরি করছিলেন। তাঁর বাবা পেশায় কৃষক ও দাদা সব্জি ব্যবসায়ী। টালির চালের দুই কামরার একতলা পাকা বাড়িতে থাকে তাঁদের পরিবার। অন্য দিকে পিয়া স্থানীয় শ্রীবরা হাইস্কুল থেকে সদ্য উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তাঁর বাবা লিলুয়ায় একটি সার কারখানার কর্মচারী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই যুগলের সম্পর্কের কথা জানত দুজনেরই পরিবার। কয়েকমাস আগে পিয়া তাঁর পরিবারের কাছে সুরেশকে বিয়ে করতে চায় বলে জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির পাশে গোয়ালঘরের কড়ি কাঠে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রিয়া দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। রিয়ার হাতে ছিল শাঁখা ও কপালে সিঁদুর। তার পাশেই ছিল সুরেশের দেহ। তরুণীর মা শবরীদেবীর কথায়, ‘‘ভোর তিনটে নাগাদ ছোট মেয়ে রিয়া বলে দিদি ঘরে নেই। দেখলাম, মেয়ে আমার শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ সুরেশের বাবা শুকদেববাবু জানান, ‘‘সুরেশ ফোন জানিয়েছিল বন্ধুর বাড়িতে রয়েছে। তাই আণরা আর চিন্তা করিনি। ভোর চারটে নাগাদ খবর পেলাম ছেলে আত্মহত্যা করেছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সুরেশ-পিয়ার বিয়েতে আমাদের সম্মতি ছিল। কিন্তু পি য়ার পরিবার মেনে নেয়নি। পরিকল্পিতভাবে সুরেশকে খুন করেছে।’’ তবে এ বিষয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ জানাননি তিনি। কোলাঘাট থানার পুলিশ গিয়ে ওই দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy