হাসপাতালে শেখ রফিক।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা ছড়াল খেজুরিতে। খেজুরি ২ ব্লকের বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর মালদা গ্রামে বুধবার সকালে তৃণমূলের এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপরে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ দাস-সহ দু’পক্ষের তিন জন আহত হন বলে জানা গিয়েছে। রামকৃষ্ণবাবু কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। বোমার জখম হয়েছেন উত্তর মালদা গ্রামের শেখ রফিক নামে এক তৃণমূল কর্মী। তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তবে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
কী নিয়ে গোলমাল? পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, খেজুরি-১ ব্লকের কলাগেছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে এই গোলমালের সূচনা। কিছু দিন ধরেই ওই পঞ্চায়েত নিয়ে কলাগেছিয়ায় গোলমাল চলছে। তার রেশ গিয়ে পৌঁছেছে পাশের ব্লকেও। তার জেরেই গত কয়েক দিন আগে উত্তর মালদা গ্রামের শেখ হাসানকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই মারধরে রামকৃষ্ণবাবুর মদত আছে বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর। রামকৃষ্ণবাবু খেজুরির বিধায়ক রণজিত্ মণ্ডলের অনুগামী বলে পরিচিত। রণজিত্বাবু আবার তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। রামকৃষ্ণবাবুর বিরোধী শিবিরের নেতা বলে পরিচিত জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস। তিনি জেলায় অখিল গিরির অনুগামী বলে পরিচিত। শেখ হাসানকে মারধরের পর থেকেই বিবাদমান দু’ই শিবিরের দ্বন্দ্ব ফের প্রকট হয়েছে বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্রে খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ বারাতলা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ দাস উত্তর মালদা গ্রামের কাছে তেতুঁলতলায় এলে বিরোধী গোষ্ঠীর কিছু লোক তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাঁর মাথায় আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে আটকে মারধরের খবর চাউর হতেই তাঁর অনুগামী এক দল তৃণমূল কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় উত্তর মালদা গ্রামে পৌঁছয়। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে অভিযোগ। চলে বোমাবাজিও। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পার্থপ্রতিম দাস এবং উত্তর মালদা গ্রামের শুভ্রাংশু দাসের মদতে রামকৃষ্ণবাবুকে মারধর করার অভিযোগ তুলে ও তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে তেতুঁলতলায় বোগা-হেঁড়িয়া রাস্তায় পথ অবরোধ করেন। ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধ চলে। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। সন্ধে অবধি কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy