একশো দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্ত ও সামসাবাদের দলীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণের দাবিতে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও অফিস ঘেরাও করল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চলে। পরে বিডিও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবস্থান ওঠে। যদিও সামসাবাদ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শাহ আলম ফের মঙ্গলবার অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ দিন দুপুরে নন্দীগ্রাম বিডিও অফিসে বইমেলা নিয়ে জেলাস্তরের বৈঠক থাকায় দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা মতো বিডিও অফিস থেকে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়েছিল। বৈঠক শেষ হতেই ফের শুরু হয় ঘেরাও।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, “২৬ ডিসেম্বর সামসাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভিত্তিহীন অভিযোগে এখনও প্রধানকে অপসারণ করা হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, “একশো দিনের কাজে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিডিও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় অবস্থান তুলে নিয়েছি।”
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সামসাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানার বিরুদ্ধে উপ প্রধান সবিতা মণ্ডল-সহ দলের আট জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাথ পালের গোষ্ঠীর দাবি, গত ২৬ ডিসেম্বর তলবি সভায় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান-সহ সাত জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ হয়ে গিয়েছে। তবে মেঘনাথ পালের বিরোধী গোষ্ঠীর দাবি, তলবি সভায় সবিতাদেবী উপস্থিত ছিলেন না। এমনকী সবিতাদেবীও ওই সভায় অনুপস্থিত থাকার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন এই অভিযোগ পাওয়ার পর অনাস্থা প্রস্তাব পাশের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। উপ-প্রধান এ দিনও বলেছেন, “চিকিৎসা করাতে ওড়িশায় গিয়েছিলাম। আমার নাম করে অন্য কাউকে সাজিয়ে তলবি সভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”
পঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানা বলেন, “জালিয়াতি করে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করার চেষ্টা হয়েছিল। বিডিও গ্রাম প্রধান হিসাবে কাজ চালাতে বলেছেন। বিডিওকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি, একশো দিনের কাজে কোনও দুর্নীতি হয়নি।” বিডিও অমর্ত্য চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হয়েছে। সামসাবাদের অনাস্থার বিষয়টিও জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।” জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ওই অনাস্থা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন। বিষয়টির তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy