জলে ডুবে কাঁথির ভাঁইটগড় এলাকা। নিজস্ব চিত্র।
এক নাগাড়ে হয়ে চলেছে বৃষ্টি। থামার কোনও লক্ষণও নেই। আর টানা দু’দিন ধরে প্রবল বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, রামনগর, খেজুরি, পটাশপুর, ভগবানপুর, নন্দীগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃষ্টির পাশাপাশি পূর্ণিমার ভরা কোটালের জল আসায় কাঁথির বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতিও। শনিবার কাঁথি ও রামনগর এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। পরে কাঁথিতে প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি। তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীও জেলার বিভিন্ন এলাকার খোঁজ নিয়ে দুর্গতদের উদ্ধার সহ-ত্রাণ সংগ্রহে উদ্যোগী হন। জেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজের জন্য জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই জেলার সব দফতরের সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। খোলা হয়েছে দেড়শোটি ত্রাণ শিবির।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃস্পতিবার থেকে টানা প্রবল বৃষ্টির জেরে কাঁথি-১, ২ ,৩ ব্লকের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন। এছাড়াও রামনগর-২, খেজুরি-১, ২, ভগবানপুর-২, পটাশপুর-১, ২ ও নন্দীগ্রাম-১,২ ব্লকের আংশিক এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই দু’দিনেই জেলায় গড়ে মোট ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাতভর ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি শুক্রবার কাঁথি-১, ২ ও ৩ ব্লকের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় খাল দিয়ে ভরা কোটালের জল ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। কাঁথি এলাকা পরিদর্শনের পর জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “জমা জল দ্রুত বের করার জন্য নিকাশি খালগুলির বাধা সরানোর জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণের কাজে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy