মিড-ডে মিলের ‘খাবার চুরি’র অভিযোগের রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বাচ্চাদের মিড-ডে মিলের ‘খাবার চুরি’র অভিযোগ টিচার ইন-চার্জের বিরুদ্ধে। খাবার চুরি ছাড়াও অভিযোগ পড়ুয়াদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার। পুলিশ, প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকা। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের একটি স্কুলের। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষিকার মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি জেলাশাসককে খতিয়ে দেখতে বলেছেন। এবং এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষকতার চাকরি পান তৃপ্তি প্রামাণিক। গত বছর বদলি হয়ে তিনি ডায়মন্ডহারবারের দক্ষিণ কামারপোল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন। তাঁর দাবি, নতুন স্কুলে দিন কয়েক কাটতেই একের পর এক অনিয়ম দেখতে পান। আর পিছনে রয়েছেন স্কুলেরই টিচার ইন-চার্জ চন্দন ভাণ্ডারী। তৃপ্তির অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া সাপ্তাহিক মেনু চার্ট অনুসারে রান্না হত না এই স্কুলে। চন্দনের নির্দেশ মতো নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হত পড়ুয়াদের। এমনকি যে সব পড়ুয়া স্কুলে আসেনি বা ছুটি নিয়েছে হাজিরার খাতায় তাদের নাম তোলা হত। এ নিয়ে তৃপ্তির আইনজীবী সুদীপ্ত ঘোষচৌধুরী বলেন,‘‘সঠিক খাবার না দিয়ে এবং বাড়তি পড়ুয়া দেখিয়ে মিড-ডে মিলের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে চন্দনের। সেই কারণেই তিনি এমন কাজ করে থাকতে পারেন।’’
তৃপ্তির দাবি, ‘‘চন্দনের এই ধরনের কাজ নিয়ে তিনি বার বার সরব হয়েছেন। একাধিক জায়গায় অভিযোগ করেছেন। সেই কারণে স্কুলের টিচার ইন-চার্জের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, মিড-ডে মিল নিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে স্কুলে তাঁর বিভিন্ন কাজে বাধা দেন চন্দন। করা হয় অমানবিক অত্যাচারও। গত জুলাই মাসে জেলাশাসককে দেওয়া চিঠিতে (যদিও সেই চিঠির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।) ওই স্কুলের সহ-শিক্ষিকা তৃপ্তি জানিয়েছেন, যে ভাবে তিনি মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এতে তাঁর ভাবি সন্তানের কোনও ক্ষতি হলে দায়ী থাকবেন চন্দন।
হাই কোর্টে দেওয়া নথি অনুসারে তৃপ্তি চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের মহিলা থানা, মহকুমাশাসক এবং জেলাশাসককের কাছে। কোনও জায়গা থেকে সদুত্তর না পাওয়ায় সর্বশেষ তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মামলাকারীর সব বক্তব্য শুনে জেলাশাসককে বিষয়টি দেখতে বলেন। মামলাটির ফের শুনানি রয়েছে আগামী ২৩ নভেম্বর।
অন্য দিকে, তৃপ্তির এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে চন্দনকে ফোন করে আনন্দবাজার অনলাইন। যোগাযোগ করা যায়নি। দু’বারই ফোনটি তোলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কেটে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy