সীমিত সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানোর ভাবনা।
রেল বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষা। সব ঠিক থাকলে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে পুজোর আগেই বাংলায় মেট্রো, এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হতে পারে। আপাতত সীমিত সংখ্যায় চলবে লোকাল ট্রেন। পরে পরিস্থিতি বুঝে ধীরে ধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। নিউ-নর্মালে মেট্রো চড়তে হলে, মানতে হবে বেশ কিছু নতুন নিয়মও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, বিধি মেনে মেট্রো-ট্রেন চললে তাঁর সরকারের আপত্তি নেই। এর পরেই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি এ বার রাজ্যে মেট্রো-লোকাল চলবে? কেন্দ্র অবশ্য তার আগেই ঘোষণা করে, ট্রেন-মেট্রো চলবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। গতকাল, শুক্রবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমারকে পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই ট্রেন-মেট্রো পরিষেবা দ্রুত শুরু হওয়া নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমারকে দেওয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের চিঠি।
পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং মেট্রো রেল সূত্রে খবর, তাদের তরফে সব রকমের প্রস্তুতি সারা। লকডাউনের পর থেকেই পরিকাঠামোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশন নতুন রূপে গড়ে উঠছে। এ রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশন থেকে শুরু করে সিগন্যালিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। তবে, করোনা বিধি মেনে পরিষেবা দিতে হলে রাজ্যেরও সহযোগিতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। রাজ্যের তরফে রেল বোর্ডকে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলায় মেট্রো এবং ট্রেন চলতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিষেবা শুরুর আগে রেল বোর্ডের কাছে আলোচনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কমলার চেয়ে অনেক বেশি যোগ্য ইভাঙ্কা, দাবি ট্রাম্পের
মেট্রো সূত্রে খবর, টিকিট কাউন্টারে মাস্ক এবং গ্লাভস পরতে হবে কর্মীদের। টিকিট কাউন্টারের সামনে দূরত্ববিধি মেনে দাঁড়াতে হবে যাত্রীদের। কত দূরে যাত্রীরা দাঁড়াবেন, রং দিয়ে জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ। রেকের ভিতরে যাতে দূরত্ববিধি বজায় থাকে, সে জন্য দু’টি সিটের মাঝে ক্রস চিহ্নও এঁকে দেওয়া হয়েছে। টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রেও রাশ টানা হতে পারে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর চলবে মেট্রো।
প্রস্তুতি মেট্রো স্টেশনেও।
একই ভাবে ২৫ শতাংশ পরিকাঠামো নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে। ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করা হতে পারে। পাস চালু করা হতে পারে সে ক্ষেত্রে। যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। স্টেশনে হকার আপাতত বসতে না দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ রাজ্য থেকে হাতে গোনা কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন চলছে। মনে করা হচ্ছে, প্রথমে প্যাসেঞ্জার এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তার পর মেট্রো এবং লোকাল ট্রেনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “সব কিছুই নির্ভর করছে রাজ্য এবং রেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপরে। আলোচনার মাধ্যমেই রেল এবং মেট্রো চলবে।”
আরও পড়ুন: এক দেশ এক ভোট-এ অগ্রগতি, একই ভোটার তালিকা তৈরির প্রস্তুতি
ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের বিভিন্ন ডিভিশনের মধ্যে প্রাথমিক বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে ট্রেন চালাতে কোনও সমস্যা নেই বলে জানাচ্ছেন রেল কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy