প্রতীকী ছবি।
ক্ষতিপূরণের বিশ হাজার টাকা পেতে গিয়ে উনিশ হাজার টাকাই চলে গেল কাটমানিতে!
এমনই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তেরা টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ছিলই বিভিন্ন জায়গায়। আমপানে ক্ষতিপূরণের টাকা গরিব মানুষ না পেয়ে বিত্তশালীরা পাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এ বার অভিযোগ উঠল, ক্ষতিগ্রস্তেরা যদিও বা ঘরভাঙার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু শাসক দলের নেতাকে দিতে হয়েছে কাটমানি।
এ দিন স্থানীয় বেশ কয়েকজন মানুষ বাসন্তী ব্লকে লিখিত অভিযোগ জানান। বিডিও সৌগত সাহা বলেন, “এ রকম একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“
অভিযোগ, বাসন্তী পঞ্চায়েতের কালীডাঙার ১৭৬ নম্বর বুথের সদস্য তৃণমূলের কাদের খান ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি চাইছেন। তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগও উঠছে।
কালীডাঙার বাসিন্দা আক্রম শেখ বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য কাদের বাড়ি এসে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং মোবাইল নম্বর নিয়ে যান। পরে আমার অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা ঢোকে। ওই টাকা থেকে জোর করে ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।” স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, “ঝড়ে বাড়ি ভেঙেছে। পঞ্চায়েতে গিয়ে আবেদন করতে চাইলে প্রধানের স্বামী, তাঁর লোকজন হুমকি দেয়। বলে, ১০ হাজার টাকা না দিলে তালিকায় নাম তোলা হবে না। যাঁদের নাম তালিকায় তোলা হচ্ছে, তাঁদের থেকে আগাম টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।” সামিনুর ঢালির কথায়, “ঝড়ে ঘর ভেঙে গিয়েছে। অথচ তালিকায় আমার নাম নেই। যাদের ঘরের ক্ষতি হয়নি, তারা দিব্যি টাকা পেয়েছে।”
কাদেরের বক্তব্য, “প্রধান আমাকে ১০ জনের নামের তালিকা জমা দিতে বলেছিলেন। সেই মতো আমি যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের নামের তালিকা জমা দিয়েছিলাম। কারও কাছে টাকা চাইনি। ওঁরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমি পরিচিত লোকজনদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছি, এটাও ঠিক নয়।”
পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী শ্রীদাম মণ্ডলের কথায়, “মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি শুনেছি, ওই পঞ্চায়েত সদস্য এক জনের কাছে টাকা পেতেন। সেই টাকা তিনি পাচ্ছিলেন না। এখন সেই ব্যক্তি ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য তাঁকে দেওয়া ধারের টাকা শোধ করতে বলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy