ঝড়ে তছনছ মেখলিগঞ্জের উছলপুকুরিতে। নিজস্ব চিত্র
রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন ব্যাহত হয়েছে রবিবারও। জলপাইগুড়ি শহরে বৃষ্টিতে জমা জলে পড়ে গিয়ে বিমল শীল (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পরশমণি নগর থেকে দেহটি উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ। ওই এলাকায় দোকান ছিল বিমলের। পরিবারের দাবি, রাতে বাড়ি যাননি বিমল। এ দিন জল কমলে ওই এলাকায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। একটি কাঠের খুঁটিতে দেহটি আটকে ছিল। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শহরের সারদাপল্লি সংলগ্ন এলাকায় তিস্তায় জলে এক ব্যক্তির দেহ ভেসে এসেছে। পরিচয় জানা যায়নি।
উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় মহানন্দার ধারে একটি ভরা খালে স্নান করতে গিয়ে আবুল কালাম (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মহানন্দা তো বটেই,
খালটিতেও এখন জলের স্রোত বেশ তীব্র। কালাম সাঁতার জানতেন না। রবিবার দিনভর তল্লাশি চালানোর পরে বিকেলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
নদীর জল বাড়ায় ও ধসে অনেক রাস্তা বন্ধ। অনেক চা-বাগানও জলমগ্ন। শনিবার রাতে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় চাকুলিয়ার বেশ কিছু বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ডালখোলার অনেক বাসিন্দা গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন জাতীয় সড়কের উপরে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মহানন্দার জল বাঁধ ভেঙে ডালখোলা এবং চাকুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা মোকাবিলায় রবিবার জেলা প্রশাসন স্পিডবোট নামিয়েছে।
জলমগ্ন আলিপুরদুয়ার শহরের অনেক এলাকাই। রবিবার সকাল থেকে শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বৃষ্টির জল জমে যায়। জলবন্দি হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। কয়েকটি ওয়ার্ডে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে নামানো হয় নৌকা। তবে দুপুরের পর থেকে নদীর জল কমতে শুরু করায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে শুরু করে।
পরপর তিন দিন টানা বৃষ্টির পর শনিবার রাতে ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কোচবিহারের বহু এলাকার মানুষ। গীতলদহে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি ও জামালদহ এবং মাথাভাঙায় বহু মানুষ আশ্রয়হীন। মাথাভাঙার কেদারহাট এবং গোপালপুর এলাকা মিলেও প্রায় শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রচুর গাছ উপড়ে যায়। একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝড়ে আহত হয়েছেন দুই মহিলাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy