ফাইল চিত্র।
ঠিক দুয়ারে শিক্ষক নয়! আবার আগের মতো পুরোপুরি স্কুলে গিয়ে ক্লাস চালুরও আশা এখনই দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সব দিক রক্ষা করে এক ধরনের মধ্যপন্থা। অনলাইন ক্লাসে পড়া ভাল বুঝতে না-পারা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির কিছু পড়ুয়াকে পালা করে স্কুলে ডেকে পড়া বোঝানোর পথে হাঁটছেন কোনও কোনও স্কুলের শিক্ষকেরা।
কেউ কেউ এর মধ্যে পড়ুয়াদের ব্যাচ করে গৃহ শিক্ষকতা বা করোনা পূর্ববর্তী সময়ে কোনও কোনও স্কুলের বিশেষ কোচিংক্লাসের মিল পাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস চালুর সময়ে শিক্ষকেরা দরকারে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও পড়াবেন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু সব পড়ুয়ার বাড়ি গিয়ে পড়ানো (বিশেষত প্রত্যন্ত এলাকায়) বাস্তবসম্মত নয় বলেই সবাই কার্যত মানছেন। তবে অনলাইন ক্লাসে পড়া বুঝতে না-পারা পড়ুয়াদের সঙ্গে বাকিদের বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে এই পথে খানিক সুরাহা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ চাতরা হাইস্কুলের দশম ও দ্বাদশের পড়ুয়ারা এ ভাবেই স্কুলে এসে পড়া বুঝে নেবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণাংশু মিশ্র। কৃষ্ণাংশুবাবু জানান, তাঁদের স্কুলে লাগোয়া পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮টি গ্রাম থেকে ছাত্ররা পড়তে আসে। সারা দিন ধরে মোটরবাইকে করে শিক্ষকেরা ঘুরলেও সবার বাড়ি পৌঁছনো যাবে না। কৃষ্ণাংশুবাবু বলেন, “আমরা বরং দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নোটিশ দিয়ে জানিয়েছি কোনও পড়া
ৎবুঝতে সকাল ১০টা থেকে ১২ টার মধ্যে তাঁরা স্কুলে আসতে পারে। শিক্ষকরা সেই সময় স্কুলে এসে পড়া বুঝিয়ে দেবেন। করোনা বিধি মেনেই পড়ানো হবে।” কোন বিষয় কখন পড়ানো হবে তা পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপে জানানো হচ্ছে।
ডোমজুড়ের কেশবপুর হাইস্কুল প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাসের মতে, “গ্রামের কোনও ক্লাবে বা ফাঁকা মাঠে শিক্ষকরা এক সঙ্গে কয়েক জনকে পড়াতে পারেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তা সব সময়ে সম্ভব নয়। আমরা বরং দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়ুয়াদের স্কুলে ডেকে পড়াতে পারি।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার এলাকার একটি স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “গত বছর নভেম্বর মাস নাগাদ করোনা পরিস্থিতি ভাল ছিল। কিন্তু স্কুল খুলছিল না। তখন আমাদের স্কুলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পর্যায়ক্রমে স্কুলে ডেকে পড়িয়েছেন শিক্ষকরা। ফের করোনার জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে গেল। পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হয়ে গেলেই ফের ওই পড়ুয়াদের স্কুলে ডেকে পড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”
প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির মতে, গ্রামাঞ্চলে অনলাইনে পড়ার যা পরিকাঠামো তাতে সপ্তাহে দু’দিনও দু’ঘণ্টা করে পড়ুয়ারা সরাসরি শিক্ষকদের কাছে পড়া বুঝে নিলে উপকৃত হবে। তবে সেই সঙ্গে অল্প ক’জন মিলে স্কুলে পড়তে এলেও সংক্রমণ যাতে না-ছড়ায় তার জন্য সতর্কতা জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষকদের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy