Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
BJP Leaders

বিজেপি যেন ভাঙা হাট, বৈঠকে ডাক পেয়েও সাড়া দিচ্ছেন না অনেক পরাজিত

ছবিটা স্পষ্ট হল শুক্রবার বিকেলে। হেস্টিংসে দলের দফতরে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল রাজ্য কমিটির সব পদাধিকারী ও বাছাই প্রার্থীদের। কিন্তু উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে কম।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় , লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং  ভারতী ঘোষ।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় , লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং ভারতী ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২১ ১৩:৩৩
Share: Save:

লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা দখল। কিন্তু ৭৭-এ আটকে গিয়েছে দল। দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার বিধায়কপদ ছাড়ায় বিধানসভায় বিজেপি-র শক্তি আরও কমে ৭৫। অন্য দিকে, জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা ‘আক্রান্ত’ বলে সরব রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু দলের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে একাধিক বৈঠক ডাকা হলেও তাতে সাড়া দিচ্ছেন না অনেকে। এঁদের মধ্যে বড় অংশ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত।

বৈঠকে ডাক পেয়েও হাজির না হওয়ার ছবি বেশি করে স্পষ্ট হয়েছে শুক্রবার বিকেলে। বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য হেস্টিংসে দলের দফতরে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল সব পদাধিকারী ও প্রধান নেতাদের। কিন্তু সেখানে উপস্থিতির হার ছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বিপর্যয়ের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্যে দায়িত্বে এসেছেন অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। তিনি ছাড়াও শুক্রবারের বৈঠকে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। ছিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিজেপি-তে সাধারণ সম্পাদক পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে মোট পাঁচ জন এই পদে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় সিংহ এবং সায়ন্তন বসু। আসেননি জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রথীন বসু। রাজ্য বিজেপি-তে সহ সভাপতি রয়েছেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে জনা চারেক হাজির ছিলেন শুক্রবারের বৈঠকে। ১০ জন রাজ্য সম্পাদকের অনেকে আসেননি। এ ছাড়াও রাজ্য কমিটির বাছাই কয়েকজন সদস্যকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিধাননগরে পরাজিত প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। তিনি আসেননি। ডাক পেয়েও গরহাজির ছিলেন ডোমজুড়ে পরাজিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপি-র এক নেতার দাবি, ভোট পরবর্তী সময়ে এঁদের অনেকেই কোনও বৈঠকে আসছেন না। দলের বৈঠকে খুবই অনিয়মিত সহ-সভাপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ ভারতী ঘোষ।

শুক্রবারের বৈঠকে ডাকা হলেও অনেকেই যে আসেননি তা মানছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। তবে তাঁর দাবি, “করোনা পরিস্থিতির জন্য যাঁরা দূরে থাকেন, তাঁদের অনেকে আসতে পারেননি। আবার অনেক অসুস্থ। এ ছাড়াও কারও কারও এলাকায় এত বেশি সন্ত্রাস হচ্ছে, যে তাঁরা এলাকা ছেড়ে কলকাতায় আসতে পারছেন না। কেউ কর্মীদের সামলাচ্ছেন। কেউ নিজের উপর হামলার ভয় পাচ্ছেন। তবে সকলেই দলের যোগাযোগের মধ্যে রয়েছেন।” দিলীপের দাবি অবশ্য মানতে রাজি নন দলেরই একাংশ। তাঁরা বলছেন, যাঁরা শুধুই বিধায়ক হওয়ার জন্য বিজেপি-তে এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই হেরে যাওয়ার পরে আর রাজনীতি করবেন কি না সন্দেহ। কেউ কেউ রাজ্য নেতাদেরও ফোনও ধরছেন না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy