Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Central Force

বাহিনীর ঘাঁটিতে ব্যাহত পরীক্ষা

বাহিনী থেকে যাওয়ার সময়েই শিক্ষকদের অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে, পাঠ্যক্রম শেষ করা এবং পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর্যভট্ট খান
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৩ ০৬:২৯
Share: Save:

ভোট মিটেছে। তবে গোলমাল থামেনি। তাই বহু স্কুলেই রয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাঁটি। বহু জায়গায় ঘাঁটি উঠলেও স্কুল লন্ডভন্ড হয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলগুলিতে ১ অগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু করা যায়নি বলে খবর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ অনুসারে, ৭ অগস্টের মধ্যে ওই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে বাহিনীর ঘাঁটি থাকা স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাঠ্যক্রমই শেষ হয়নি। বাহিনী চলে যাওয়ার পরেও স্কুল ফের গোছগাছ করে অগস্টের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহে ওই মূল্যায়ন শুরু হতে পারে।

পঞ্চায়েত ভোটের কেন্দ্র করা হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবিরও করা হয়েছিল ওই স্কুলে। ভোটে গোলমাল হয়েছিল। তাতে বহু স্কুলের ক্ষতি হয়। ভোটের পরেও হিংসা, হাঙ্গামা না-থামায় আদালতের নির্দেশে উপদ্রুত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে গিয়েছিল। বাহিনী থেকে যাওয়ায় সেই স্কুলগুলিতে স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি।

বাহিনী থেকে যাওয়ার সময়েই শিক্ষকদের অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে, পাঠ্যক্রম শেষ করা এবং পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। সেই আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, এখন তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন ওই শিক্ষকেরা।

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের কেলোমাল সন্তোষিণী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃন্ময় মাঝি জানান, তাঁদের স্কুল থেকে ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাঁটি উঠেছে। তবে স্কুলের অবস্থা এখনও অগোছালো। তাই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী যাওয়ার পরে দেখলাম, আমাদের স্কুলের ২১টি বেঞ্চ ভেঙেছে। শৌচালয়ের অবস্থা খুব খারাপ। পড়ুয়াদের জন্য শুদ্ধ জলের ব্যবস্থা করার যন্ত্র কেনা হয়েছিল। সেই যন্ত্র বিকল। পড়ুয়াদের বসার উপযোগী করে পাঠ্যক্রম শুরু করার পরে ১ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু করতে পারলাম না। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করব।”

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সপ্তগ্রাম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ কে এম রফিকুল হাসান বলেন, “১ অগস্ট আমাদের স্কুল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়েছে। কী ভাবে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরু করব?” তমলুকের একটি স্কুলের শিক্ষক শম্ভু মান্না বলেন, “আমাদের স্কুলে পঞ্চায়েত ভোটের প্রশিক্ষণ হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট হয়ে যাওয়ার পরে রাজ্য পুলিশ কিছু দিন স্কুলে ছিল। পড়ুয়ারা অনুরোধ করেছে, আমাদের স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা সেই মতো পরীক্ষা ৭ আগস্ট থেকে শুরু করছি।”

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারের অভিযোগ, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বারবার জানিয়েছিলাম। যে-স্কুলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, সেখানে পরীক্ষা নিয়ে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু করেনি।’’ পর্ষদ সূত্রের দাবি, অসুবিধা হলে তাঁরা নিশ্চয়ই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Panchayat Election 2023 Schools
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy