অবারিত: ৩৪ নং জাতীয় সড়কে মদের দোকান। বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
প্রশাসনের এক ‘অলিখিত’ নির্দেশে খুলে গেল রাজ্যের বেশির ভাগ মদের দোকান ও পানশালা। যদিও শুক্রবার রাজ্যের আবগারি সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী গেজে়ট বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক বা সার্ভিস রোড থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মদের দোকান খোলা যাবে না। এ ছাড়া পঞ্চায়েত বা পুর এলাকায়, যেখানে জনসংখ্যা ২০ হাজারের কম, সেখানে সড়ক থেকে মদের দোকানের দূরত্ব হতে হবে অন্তত ২২০ মিটার।
তা হলে জাতীয় সড়কের পাশে ওই দোকান ও পানশালা কার নির্দেশে খুলল? আবগারি দফতরের বক্তব্য, ‘‘কোথাও দোকান খোলা থাকলে তা খুলেছেন দোকান মালিকরাই। সরকার কিছু জানে না।’’ যা শুনে প্রশাসনের একাংশ রসিকতা করে বলছেন, ভূতে খুলেছে! জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মদের দোকান ও পানশালা খোলা যাবে না বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার থেকে বাঁচতে দু’টি কৌশল নিয়েছে নবান্ন। জাতীয় সড়কের ধারে থাকা দোকান মালিকদের বলা হয়েছে, তাঁরা ৫০০ মিটার ছেড়ে নতুন দোকান খুললে সরকার কোনও ‘ফি’ নেবে না। আর ৩ হাজার কিলোমিটার রাজ্য সড়কের মদের দোকান-সংলগ্ন ১৭০টি জায়গাকে আর্টিলারি রোড বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আবগারি দফতর সূত্রের খবর, এর পরেও ২০ শতাংশের বেশি মদের দোকানকে বাঁচানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সেরা শিশুশিল্পীর জাতীয় পুরস্কার দেগঙ্গার দস্যিদের
উপায়? আবগারি কর্তা বলছেন, এই কারণেই সরকারি ভাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, স্থান পরিবর্তনের আগে পর্যন্ত দোকান খুলে রাখার অলিখিত বার্তাও দেওয়া হয়েছে। নবান্নের এক কর্তার কথায়, ‘‘দেশের যেমন সর্বোচ্চ আদালত রয়েছে, রাজ্য প্রশাসনেরও সর্বোচ্চ স্তর রয়েছে। সেখানেই দোকান খুলতে দেওয়ার কথা জেলা প্রশাসনকে বলে দেওয়া হয়েছে।’’ তার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে খুলে যায় মদের দোকান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy