মনুয়া মজুমদার
ক্রমেই ডানা মেলছে সে।
দক্ষতার সঙ্গে বন্দিদের ক্রিকেট প্রতিযোযোগিতার স্কোরারের দায়িত্ব সামলেছে। রেডিও জকি হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। কয়েক দিন আগে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে নাচেও প্রতিভা চিনিয়েছে। এ বার কি সেই তালিকায় ‘নেতৃত্ব’কে যোগ করল মনুয়া মজুমদার! প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কারা দফতরের অন্দরে। দমদম সেন্ট্রাল জেলের অশান্তির ঘটনায় উঠে এল মনুয়ার নাম।
শনিবার বন্দি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয় দমদম জেল। রবিবারও সেখানে অশান্তির আঁচ। ওইদিন দুপুরে মহিলা বন্দিদের বার করতে সচেষ্ট হয় বিচারাধীন বন্দিরা। শুরুতে বিচারাধীন পুরুষ বন্দিরা মহিলা ওয়ার্ডের কাছে যান। সেখানে গিয়ে মহিলা ওয়ার্ডের এনক্লোজার গেটে ধাক্কাধাকি করা হয়। সেই গেটের তালাও ভাঙা হয়। কিছু মহিলা বন্দি ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চেঁচামেচি করতে থাকেন। তখন কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। তাতে ভীত হয়ে ওয়ার্ডে চলে যান মহিলা বন্দিরা। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও মহিলা বন্দি বেরিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। অভিযোগ, তাঁরা এবং অশান্তি পাকানো পুরুষ বন্দিরা মহিলা কারারক্ষীদের মারধরও করে। এই পরিস্থিতিতে স্লোগান দিতে দিতে অনেক মহিলা বন্দিকে নিয়ে বেরিয়ে আসে অনুপম সিংহ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী মনুয়া। তাঁর নেতৃত্বে জেলের মাঠে বসে থাকেন মহিলা বন্দিরা। সে ভাবে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান তাঁরা। সন্ধেবেলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। মহিলা বন্দিদের ওয়ার্ডে ফিরে যেতে বলা হয়। কয়েকজন ওয়ার্ডে গেলেও বাকিরা লক আপ হতে চাননি। সারারাত মাঠে বসেই রাত কাটান বেশিরভাগ মহিলা বন্দি। সেখানে ‘ম্যান মার্কিং’-এর মতো মহিলা বন্দিদের রাখে পুলিশ এবং র্যাফ। নিয়মানুসারে, সূর্যাস্তের সময়ে সব বন্দিদের লক আপ করা হয়। সেই নিয়ম ভাঙার ক্ষেত্রে দমদম জেলে ‘আন্দোলন’রত বন্দিদের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় মনুয়াকে। সোমবার সকালে র্যাফ এবং পুলিশের ‘চাপে’ লক আপ হতে বাধ্য হয় মনুয়ারা। আর একটি সূত্রের দাবি, এ দিন নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান মহিলা বন্দিরা।
এক কারা কর্তার কথায়, ‘‘কোনও কোনও বন্দি মাতব্বরির চেষ্টা করেছেন।’’ বিভিন্ন বন্দিদের দমদম থেকে অন্যত্র সরানো শুরু হয়েছে এ দিন। সেই তালিকায় রয়েছে মনুয়াও। তার গন্তব্য কলকাতার বাইরের কোনও জেল বলে সূত্রের খবর। দমদম জেলের রেডিয়ো স্টেশন ‘রেডিয়ো দমদম’-এর অন্যতম ‘রেডিও জকি’ জিনিয়া নন্দী। জেলের অন্দরের সাংস্কৃতিক জগতে ক্রমশই পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিল সে। অশান্তির ঘটনায় সে-ও যুক্ত বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy