Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rishra Firing

‘আমি তৃণমূল করি’! ব্যবসায়ীর মাথায় গুলি করে ধৃতের ‘গলাবাজি’ শুনে হতভম্ব পুলিশ

মঙ্গলবার সকালে রিষড়ার বাগখালে এক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন আনসারি। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় রঞ্জন যাদব নামে এক যুবককে।

ধৃত রঞ্জন যাদব।

ধৃত রঞ্জন যাদব। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রিষড়া শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৫
Share: Save:

মঙ্গলবারই এক ব্যবসায়ীর মাথায় গুলি করেছিলেন যুবক। গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু শরীরী ভঙ্গিমায় কোনও অনুতাপ নেই! উল্টে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যেও ‘দাপট’ দেখিয়ে যুবক জানালেন, পুরনো রাগ ছিল। সেই রাগ থেকেই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছেন। কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত? এই প্রশ্ন করেছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। থানার সামনে দাঁড়িয়ে গোঁফ পাকাতে পাকাতে ওই যুবক জবাব দিলেন,‘‘আমি তৃণমূল করি!’’

হুগলির রিষড়ায় এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের কাজই সমাজবিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়া। যাতে ভোট লুটের সময় তাঁদের কাজে লাগানো যায়। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত ওই যুবক তাদের দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি বজরং দলের সদস্য। বিজেপির অভিযোগও অস্বীকার করেছে শাসকদল।

মঙ্গলবার সকালে রিষড়ার বাগখালে এক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন আনসারিকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে রঞ্জন যাদবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রঞ্জনকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। বুধবার তাঁকে শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় নিজেকে ‘তৃণমূলের লোক’ বলে দাবি করেছেন রঞ্জন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শামসুদ্দিন আমার মাকে মারধর করেছিল এক বছর আগে। সেই রাগেই গুলি করেছি।’’

শামসুদ্দিনের বন্ধু আফতাব আলম দাবি করেন, রঞ্জন এক সময় বজরং দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ডিসেম্বরে মারামারি করে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। জেলও খেটেছিলেন কয়েক দিন। অন্য দিকে, শামসুদ্দিনের ভাই মহম্মদ আলমের বক্তব্য, ‘‘রঞ্জনের মাথায় তৃণমূলের হাত রয়েছে। এই ঘটনার ঠিক মতো অনুসন্ধান হওয়া জরুরি।’’

গোটা ঘটনায় বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন, ‘‘তৃণমূল এই সব সমাজবিরোধীদের প্রশ্রয় দেয়। আশ্রয় দেয়। ভোটে রিগিং করার জন্য এই ধরনের লোকেদের দরকার।’’

পাল্টা শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সব কথা যারা হেরে যায়, তারা বলে। আমাদের এখানে কিছু দিন আগেই নির্বাচন হয়েছে। এই অভিযোগ কেউ করতে পারেনি। অভিযুক্ত তৃণমূল করে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সর্বৈব মিথ্যা। এই ধরনের সমাজবিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, অভিযুক্ত বজরং দলের সদস্য। যে বজরং দল করে, সে আবার তৃণমূল করতে পারে নাকি? এ সব বিজেপির সাজানো গল্প।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Rishra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy