আজিমগঞ্জ-কাটোয়া শাখায় ট্রেনে যাত্রী ভাড়া নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা অতিমারির সময় ওই শাখায় রেল ভাড়া ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। এখনও সেই ভাড়া বলবৎ রয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সেখানকার যাত্রী সংগঠন। সেই ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার ওই শাখায় ভাড়া কমানোর আর্জি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা। একই সঙ্গে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ‘ইজ্জত’ নামে যে প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা, সেই কথাও চিঠিতে তুলে ধরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন যে, আজিমগঞ্জ-কাটোয়া শাখায় পূর্ব রেলের যাত্রী সংগঠনের সভাপতি ভাড়া কমানোর বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন। সেই আর্জি মেনেই ওই শাখায় ভাড়া কমানো নিয়ে রেলমন্ত্রীকে তিনি চিঠি দিয়েছেন। মমতা লিখেছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ জেলা এবং সংলগ্ন এলাকায় অনেক গরিব মানুষের বাস। বেশি ভাড়ার টিকিট কাটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই দিনমজুর। বিপিএল আওতাভুক্ত তাঁরা। রোজ তাঁদের বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্রে যেতে হয় ট্রেনে করে।’’
এর পরেই চিঠিতে ‘ইজ্জত’ প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় মনমোহন সিংহ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯-১০ সালে রেল বাজেটে ৬৩ নম্বর অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন মমতা। সেই সময় ২৫ টাকায় মান্থলি টিকিটের কথা জানিয়েছিলেন। ১০০ কিমি পর্যন্ত ট্রেন সফরে ২৫ টাকায় মান্থলি টিকিট কাটা যেত। ওই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘ইজ্জত’। চিঠিতে পুরনো সেই কথা তুলে ধরে মমতা লিখেছেন যে, বর্তমানে ওই প্রকল্পটি তুলে নেওয়া হয়েছে। ট্রেনের ভাড়া কমানো নিয়ে বহু বার পূর্ব রেলকে জানিয়েছিল ওই যাত্রী সংগঠন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজিমগঞ্জ-কাটোয়া শাখায় রেল ভাড়া আবার ১০ টাকা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবারই রাজ্যে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা হয়েছে। পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার আরও কম সময়ে বাঙালির অন্যতম প্রিয় বেড়ানোর জায়গা পুরী পৌঁছনো যাবে। বন্দে ভারতের ভাড়া ১২৬৫ টাকা। এগজ়িকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ২৪২০ টাকা। এই আবহে আজিমগঞ্জ-কাটোয়া শাখায় রেল ভাড়া কমানোর আর্জি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী।