সেই ছবি। সিঙ্গুর-আন্দোলনের মঞ্চে মমতা। এই আন্দোলন নিয়েই শুক্রবার টুইট করেছেন তিনি।
দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা পর্যালোচনা করতে এবং বিধানসভা ভোটের আগে দলের দিশা নির্ধারণ করতে শুক্রবার তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স বৈঠক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী সংক্রান্ত অধ্যায় ‘ক্লোজ্ড’ হওয়া এবং কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর যে বৈঠক যথেষ্ট ‘গুরুত্বপূর্ণ’। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, শুক্রবার হল ৪ ডিসেম্বর। মমতা তাঁর বৈঠকের জন্য এই দিনটিই বেছে নিয়েছেন। বৈঠকের আগে মমতা একটি টুইটে লিখেছেন, ‘১৪ বছর আগে ৪ ডিসেম্বর ২০০৬ আমি কলকাতায় ২৬ দিন অনশন শুরু করেছিলাম। কৃষিজমি জোর করে ছিনিয়ে না নেওয়ার দাবিতেই ছিল সেই অনশন। কেন্দ্রের কড়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বর্তমানে দেশে কৃষকরা যে আন্দোলন করছেন, তাকে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল পাশ করানো হয়েছে’। যা থেকে স্পষ্ট যে, বিধানসভা ভোটের আগে মমতা তৃণমূলকে আবার কৃষক-আন্দোলনমুখী করে তুলতে চাইছেন। অর্থাৎ, তৃণমূল আরও বেশি করে গ্রামের দিকে নজর দেবে।
তার উদাহরণ হিসেবে তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, আগামী সোমবার ৭ ডিসেম্বর তাঁর মেদিনীপুরের সভাকে মমতা আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর সভা হিসাবে দেখতে চাইছেন। ওই সভা থেকেও তিনি কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থন আরও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাইছেন।
শুক্রবারের টুইট সম্পর্কে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের অভিমত, ওই টুইটে মমতা তাঁর সুদীর্ঘ আন্দোলন-লড়াইয়ের ইতিহাস আরও একবার দলের নেতা-কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ, যে কৃষিজমি অধিকার রক্ষার আন্দোলন তাঁর উত্তরণের ভিত্তিভূমি, বিধানসভা ভোটের আগে তিনি আরও একবার সেই জমিতেই ফিরে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও একাধিক টুইটে মমতা দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘কৃষকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগে রয়েছি। ভারত সরকারের উচিত নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করে দেওয়া। এই মুহূর্তে ওই আইন প্রত্যাহার না করা হলে আমরা রাজ্য ও দেশজুড়ে আন্দোলনে নামব। আমরা প্রথম থেকেই এই কৃষক বিরোধী বিলের বিরোধিতা করে আসছি’। ঘটনাচক্রে, আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিতে শুক্রবারই দলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে হরিয়ানায় পাঠিয়েছেন মমতা।
সিঙ্গুরের জমিতে ফসলের বীজ ছড়াচ্ছেন মমতা। ফাইল চিত্র।
ঘরে-বাইরে এমন আবহে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মমতার শুক্রবারের বৈঠককে দলের অন্দরে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। দলের নেতারা মনে করছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে দলের রণকৌশল কী হবে, তার কিঞ্চিৎ দিশাও এই বৈঠক থেকে নির্ধারণ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, কর্মীদের মনোভাব বুঝতে জেলা নেতাদের কাছ থেকে আগাম একটি রিপোর্ট নিয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছেন মমতা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ‘রোডম্যাপ’ প্রস্তুত করে ডিসেম্বর থেকে জেলা সফর শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সফরে প্রশাসনিক সভার পাশাপাশি থাকবে রাজনৈতিক সভাও।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য জানুয়ারিতে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা মমতার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy