মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
সালটা ২০১৩, ৬ মে। রাজ্যের লগ্নি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিল যাতে দ্রুত ছাড়পত্র পায়, সে জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছেও তদ্বির করেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কর্মজীবনের নানা পর্বে এমন বহু বার মনমোহন-সাক্ষাৎ হয়েছিল অমিতের। এ বার অর্থনীতির ‘মাস্টারমশাই’ মনমোহনকে স্মরণ করলেন ছাত্র অমিত। সেই সঙ্গে, মনমোহনের আমলে বিরোধীদের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ যে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছিল, সেটাও শনিবার স্মরণ করে দিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
মনমোহনের প্রয়াণে ছাত্র হিসেবে তাঁর ‘উষ্ণতা এবং স্নেহ’ থেকে তাঁরা বঞ্চিত হবেন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থ-উপদেষ্টা অমিত শনিবার ১৯৬৯ সালে দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্সের একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ‘শেয়ার’ করেছেন। সেই সময়ে মনমোহন ছিলেন সেখানকার অধ্যাপক। ছবিতে মনমোহন, নোবেলজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে অমিতকেও। ছবিটিকে ‘নম্রতা’র প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে অমিত লিখেছেন, ‘অধ্যাপকেরা যখন চেয়ারে বসেছিলেন, তখন তিনি (মনমোহন) চুপচাপ এসে ছাত্রদের মাঝে দাঁড়ালেন।’
ছবিতে মনমোহনের পাশেই রয়েছেন বিনোদ রাই, যিনি দেশের প্রাক্তন কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। বিনোদই ছবিটি কয়েক বছর আগে তাঁকে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অমিত। এই সূত্রেই, অমিত মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিনোদের আমলে সিএজি রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মনমোহন-জমানায় ২-জি স্পেকট্রাম এবং কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন বিরোধীরা ঝড় তুললেও, পরবর্তী সময়ে আদালতে তা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে সেই রিপোর্ট যে মনমোহন-সরকারের পতন এবং নরেন্দ্র মোদীর উত্থানের সহায়ক হয়েছিল, তা-ও দাবি করেছেন অমিত।
অমিতের এই পোস্ট সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ-সহ আরও অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy