রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন মমতা।
রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছি। ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি।’’
মমতা বলেন, ‘‘ওঁর কাছে বহু ফাইল, অনেক বিল আটকে রয়েছে। ওঁর সঙ্গে গিয়ে আমি দেখা করেছি। কথা বলেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ রাাজ্যপালের কারণেই সরকারের অনেক কাজ আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও জানিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘বাম জমানায় যখন রাজ্যপাল ছিলেন ধর্মবীর, তখন তিনি কিছু ফাইলে সই করেননি। তা নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল। শেষমেশ তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। আমরা তো দেড় বছর ধরে সহ্য করছি।’’
ধনখড়ের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশের ডিজি, এসপি জেলাশাসক সবাইকে ডেকে ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল। এর পরই মমতা বলেন, ‘‘হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির ফাইল, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের ফাইল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। আটকে রয়েছে হাওড়া-বালি বিল। বিল পাঠানোর পর আরও তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। আমরা তা-ও পাঠিয়েছি। তার পরেও বিল পড়ে রয়েছে।’’
ধনখড়়কে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘আমরা পাড়ায় পাড়ায় মা ক্যান্টিন চালু করলে ওঁর সমস্যা হয়। উনি প্রায়ই তাজ হটেল থেকে খাবার আনান, তার বিল বার করব? রাজ্যপাল নিজেকে কী ভাবেন, সুপার পাহারাদারি রাজ্যপাল? রাজ্যপালের প্রশ্রয়ে বিজেপি-র গুণ্ডারা লোক মারছে। পেগাসাস তো সারা ভারতে চলছে। এক অল ইন্ডিয়ায় পেগাসাস, আর এখনে নাভিশ্বাস। সবার ফোন ট্যাপ করছে।’’
এ বিষয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সংবিধান-সম্মত কাজ করেছেন। নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। মুখ্যমন্ত্রী আসলে পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন।’’
ঘটনাচক্রে, সোমবারই রাজ্য-রাজভবন সংঘাত পৌঁছে গিয়েছে দিল্লির দরবারে। সরাসরি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে ধনখড় সম্পর্কে নালিশ জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্যপাল বদল করা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy