অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমের দায়িত্ব নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রতহীন সেই বীরভূম জেলার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেই জেলায় দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করলেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁর এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ৮ অগস্ট থেকে জেলবন্দি অনুব্রত। এর আগে বিভিন্ন ভোটের সময় তাঁকে নজরবন্দিও করা হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে বুধবার বোলপুরে মমতা বলেন, ‘‘আমার দু’একজন নেতাকে জেলে পুরে রেখেছ। নির্বাচনের সময়ে তো ঘর থেকেই বেরোতে দিতে না, তা-ও মানুষ ভোট দেয়।’’ এর পরেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘এ বার থেকে বীরভূম জেলা, যত দিন সে অনুপস্থিত থাকবে, আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে দেখব।’’ মমতার সংযোজন, ‘‘ফিরহাদ হাকিম আমাকে সাহায্য করবে। কোর গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আগের সিস্টেমেই কাজ করব।’’ তবে মমতা সরাসরি অনুব্রতের নাম করেননি।
পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে অনুব্রতহীন বীরভূমে গত ৩০ জানুয়ারি নতুন কোর কমিটির সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করেন মমতা। আগে এই কোর কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৪। সেই সংখ্যা এখন বেড়ে হয়েছে ৭। ওই কোর কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কাজল শেখ এবং বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। যাঁরা বীরবূমে ‘অনুব্রত-বিরোধী’ হিসাবেই পরিচিত। এ ছাড়াও কোর কমিটিতে আছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ, রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মাল।
তিনি যে কেষ্টর পাশেই রয়েছেন, বার বার সেই বার্তাই দিয়েছেন মমতা। গত বছর অনুব্রতের গ্রেফতারের কিছু দিন পর মমতা বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি ভাবছে, কেষ্টকে জেলে পুরে বীরভূমের দুটো আসন জিতে নেবে। সে গুড়ে বালি।’’ বীরভূমের নেতাদের তিনি নির্দেশ দেন, ‘‘এ বার সবাইকে তিন গুণ লড়াই করতে হবে। কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে বার করে আনতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy