গ্রেফতার করা হল টলিউডের অভিনেতাকে। —প্রতিকী ছবি।
টলিউড অভিনেতা অতীশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উঠতি মডেল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিনেতাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, অতীশের গ্রেফতারির পুলিশি নথিতে ঠিকানার জায়গায় নাম রয়েছে কবীর সুমনের। কবীর সুমন নাম মনে এলে প্রথমেই প্রাক্তন সাংসদ তথা গায়ক কবীর সুমনের কথাই মনে পড়ে। সুমন যদিও আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, ওই ঠিকানা তাঁর নয়।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, উঠতি মডেলের দায়ের-করা অভিযোগে জানানো হয়েছে, গত ছ’মাস ধরে তাঁর উপর লাগাতার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ধৃত অভিনেতা। জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘সিআইডি’র বাংলা সংস্করণের বিভিন্ন পর্বে দেখা গিয়েছে অতীশকে। পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টা নাগাদ অভিযোগকারিনী ওই উঠতি মডেলকে জোর করে বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন অতীশ। শুধু তা-ই নয়, ওই তরুণীকে মারধরও করা হয়েছিল বলে পুলিশকে তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন ওই উঠতি মডেল। সেই অভিযোগের বিষয়ে যে বিবৃতি জারি করেছে পুলিশ, সেখানে ধৃত অতীশের বাসস্থান হিসেবে ‘কবীর সুমন হাউস’ লেখা রয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগকারিনী মডেলের শরীরে বেশ কিছু জায়গায় কামড়ের দাগ রয়েছে। অতীশ তাঁকে ঘুষি এবং লাথিও মারেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সেই তরুণী। এ ছাড়াও তাঁকে বার বার হুমকিও দিয়েছেন অতীশ। ঘটনার পর অভিযোগকারিনীকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার হরিদেবপুর থানায় ওই উঠতি মডেল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই অতীশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের বক্তব্যে ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘অতীশের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তাঁর বাসস্থান ২২এ, ব্লক (পুলিশি নথিতে অবশ্য ‘ব্ল্যাক’ লেখা রয়েছে) বি, বৈষ্ণবঘাটা বাই লেন, শান্তিকুঞ্জ, কবীর সুমন হাউস, কলকাতা-৪৭’।
বিষয়টি গোচরে আসতেই আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুমনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত, এটা আমার ঠিকানা নয়। দ্বিতীয়ত, আমার বাড়িতে কোনও ভাড়াটিয়া থাকেন না। সেখানে পুলিশ কী ভাবে আমার নাম উল্লেখ করেছে ভেবে অবাক হচ্ছি!’’ প্রবীণ গায়কের বক্তব্য, ‘‘আর দেড় মাস পর আমি পঁচাত্তরে পা দেব। এই বয়সে আর কী কী যে প্রাপ্তি হবে কে জানে! শুনলাম, পুলিশ লিখেছে ‘কবীর সুমন হাউস’। বড় বড় মানুষদের বাড়ির শুনেছি এ রকম নাম হয়। আমি অন্তত নিজেকে সে রকম কেউ মনে করি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy