এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
শুধু মূল বিষয়গুলি
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২১ ১৪:৫৫
টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে মমতার বার্তা
মমতা বলেন,
রাজনীতিতে না পেরে এখন এজেন্সি লাগাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার
সবুজ সাথী প্রকল্পে ১ কোটির বেশি সাইকেল দেওয়া হয়েছে। আরও দেওয়া হবে। ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। শোধ করা যাবে ৪০ বছরেও।
ত্রিপুরায় সরকারি চাকরিতে ছাঁটাই হয়েছে। অথচ ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
এ রাজ্যে স্কুল, কলেজে অনেক নিয়োগ হয়েছে। দেশের তুলনায় এ রাজ্যে বেকারত্ব অনেক কম। এ রাজ্যে বেকারত্ব ৪৫ শতাংশ কমেছে। দেউচা পাচামির প্রকল্পে অনেক বিনিয়োগ হবে। তাজপুরে গভীর বন্দর হচ্ছে। রঘুনাথপুরে জঙ্গলসুন্দরে শিল্পনগরী হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
আইটি-তে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে অনেক কর্মসংস্থান হবে।
রাজ্যে ৬৮টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বিশ্ববাংলা হাব-সহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
রাজ্যে ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি আইটি কর্মী রয়েছেন। ডেটা রিসার্টচ সেন্টার তৈরি হলে ওই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে।
উৎকর্ষ বাংলায় ৬ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে চাকরি পেয়েছেন।
আইএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
আজ মেয়েরা আর বাবা-মায়ের বোঝা নয়। কন্যাশ্রীরা গর্ব। তারা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে।
রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণে জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ। বিজেপি পড়ুয়াদের কণ্ঠরোধ করছে।
বাংলা পথ দেখাক। টিএমসিপি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক। সারা দেশে যোগাযোগ গড়ে তুলুক।
এই বিজেপি সরকার দানবিক, অমানবিক। এই সরকার মানুষকে ভালবাসে না। পেশিশক্তি দিয়ে মানুষের কণঅঠরোধ করে। সারা দেশ বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। দেশের সব সম্পদ বিক্রি করে দেবে।
বিমা, কয়লা, রেলস্টেশন বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পর জনগণকে হয়তো বলবে দেহাংশ বিক্রি করে দাও। ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব এর বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে হবে।
কয়লা বিক্রির জন্য শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? কয়লা কেন্দ্রের মন্ত্রক। আমি বলে দিতে পারি অন্তত এক ডজন মন্ত্রী আসানসোলকে লুঠে খেয়েছে। ভোটের সময় তারা এসে কয়লা মাফিয়াদের হোটেলে উঠেছিল।
বিজেপি-র অনেক নেতামন্ত্রী মহিলাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। আমি কিছু করিনি। রাজনৈতিক ভাবে লড়ো অভিষেক, বক্সি, কাকলি, জহর সরকার, কল্যাণ, সিদ্দিকুল্লা, বীরবাহা হাঁসদা বা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে
পকেটে একটা নেংটি ইঁদুর ঢুকিয়ে রেখেছো। ওটা তোমার নিজের পকেটই কেটে দেবে। ইডি একটা কাগজ পাঠাবে, আমি বস্তা ভরে কাগজ পাঠাব— চ্যালেঞ্জ মমতার
এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি কখনও দেখিনি
আমরা এমন রাজনীতি করি না। তোমার দলের বিরুদ্ধে কতটা পদক্ষেপ করেছ? উত্তরপ্রদেশে হাথরসের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন পাঠিয়েছ?
সিবিআই-তে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপি নেতাকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে কেন যাবে? মানবাধিকার কমিশন কি শুধু বাংলার জন্য? ত্রিপুরার জন্য নয়? ওখানে রোজ মারছে আমাদের কর্মীদের।
সব কমিশনকে রাজনৈতিক করে দিয়েছে। প্রত্যেকে বিজেপি-র সদস্য।
অভিষেকের সঙ্গে পারলে রাজনীতির লড়াই লড়ো।
পি-এম কেয়াসে টাকা কী করে আসে, জানতে চাই।
ওরা শুধু মিথ্যেই বলতে জানে। তাই বলছি, জোট বাঁধুন, তৈরি হোন।
সিপিএম-ও খুন করার চেষ্টা করেছে। বিজেপি-ও করেছে। নন্দীগ্রামে আমাকে খুন করারই চেষ্টা হয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে আগে নাগরিকদের উদ্ধার না করে কেন সেনা প্রত্যাহার?