নাচের তালে: সঙ্গীত মেলা প্রাঙ্গণে এক জনজাতি শিল্পীর সঙ্গে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
আগামী নির্বাচনে বঙ্গ-অস্মিতাই যে তাঁর বড় হাতিয়ার হবে, বার বার তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনেও তিনি বললেন, “নেতাজির জয় হিন্দ, বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগণমনঅধিনায়ক এই বাংলার মাটি থেকেই তৈরি হয়েছে। মাটিকে সম্মান জানাবেন। যতই যা কিছু আসুক না-কেন, এই মাটিকে আমরা রক্ষা করব। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না। এটাই শপথ হোক।”
বিজেপি-র বিরুদ্ধে বাংলায় ‘বহিরাগতদের’ এনে ভোট রাজনীতি করার অভিযোগ আগেই তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যবেক্ষক শিবিরের ধারণা, গান-মেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বঙ্গ-অস্মিতার দিকটি তুলে ধরে আরও এক বার কার্যত বাংলা এবং বাঙালির ‘গর্বে’র দিকেই জোর দিলেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, “সঙ্গীতের মঞ্চ বিভাজনকে বিশ্বাস করে না। মানবজীবনও ভাগ হয় না। ধর্ম-পদবি আলাদা হতে পারে। কিন্তু সবাই মিলিত ভাবে একটা পরিবার ধরলে এটা মানবজাতির পরিবার। দয়া করে একে ভাগ করতে দেবেন না। যে যেখানে আছেন, গর্ব করবেন, তা হলেই বাংলার আশেপাশে কেউ আসতে পারবে না।”
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত ন’বছরে লোকপ্রসার প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ করে লোকশিল্পীদের প্রচারের আলোয় আনার পাশাপাশি তাঁদের আয়ের নিশ্চিত বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য। কোভিড-পর্বেও বহু শিল্পীর আয় হয়নি। প্রধানত সেই কারণে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৬৩০টি মেলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর কথায়, “দু’লক্ষ লোকশিল্পী আছেন লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায়। তাঁরা আরও সময় দিন সরকারি প্রচারে। তা হলে আপনাদের আয়ও বাড়বে।”
এ দিন ২১ জন সঙ্গীতশিল্পী এ বছরের ‘সঙ্গীত সম্মান’ এবং এক জন শিল্পী ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাঙালিয়ানা শিখছেন ভিন্ রাজ্যের নেতারা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy