মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সরকারি প্রকল্পে ‘কাটমানি’ নেওয়া নিয়ে আগেও দলের জনপ্রতিনিধদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন। সোমবার এ নিয়ে আরও একবার উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব সরকারি প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত না করার পিছনে যে সেই আশঙ্কাই কাজ করে দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের উপস্থিতিতে তা-ও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে সরকারি অনুদান নিয়ে হাজার হাজার ক্লাব কী করেছে, তারও হিসাব করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে সরাসরি সরকারি সাহায্য পৌঁছে দিতে একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটের পরে সেই সব প্রকল্পের মূল্যায়ন শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি এই প্রকল্পের সুবিধার পুরোটা মানুষের কাছে পৌঁছয় কি না, তা নিয়ে অবশ্য তাঁর নিজেরই সংশয় রয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তা প্রকাশ্যেই বলেছেন মমতা স্বয়ং। সোমবার নির্বাচনী ফল বিশ্লেষণে বসে ফের সেদিকেই ইঙ্গিত করলেন তিনি। জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই তিনি কটাক্ষ করেন, সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করলেই তো সাহায্যপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে প্রাপ্য থেকে আবার ২০০ টাকা করে দিতে হবে!
এদিনের বৈঠকে দলীয় বিধায়কদের কাছে তাঁদের ‘নির্বাচনী অভিজ্ঞতা’ জানতে চাওয়া হয়। তখন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ জানান, জনস্বার্থে বহু প্রকল্পই সরকার নিচ্ছে। কিন্তু সে সব সম্পর্কে অনেক সময়ই জনপ্রতিনিধিরা কিছু জানতে পারেন না। আমলাদের হাতেই সব ক্ষমতা। তাঁরাই করেন। ফলে সেই প্রকল্প নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কাছে সেভাবে পৌঁছতে পারেন না। তাই সরকারি এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হলেও ভোটে তার সুফল তৃণমূল পায়নি। তিনি কৃষি ও কৃষকের স্বার্থরক্ষায় রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্পের উল্লেখও করেন তিনি। তখনই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়ে দেন, সরকারি প্রকল্পে জনপ্রতিনধিদের যুক্ত থাকার প্রয়োজন তিনিও বোঝেন। কিন্তু তা করলে আবার সেই প্রকল্প থেকে যদি জনপ্রতিনিধিদের টাকা দিতে হয়, তাতে কিছু লাভ হয় না।
এদিনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণের এই বৈঠকে ক্লাব-প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া অনুদানের বিষয়টি খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়কদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের দেওয়া অর্থে কে, কী কাজ করেছে তা দেখে তালিকা তৈরি করুন। সেই তালিকা তাঁর কাছে জমা দিতে বলেছেন নির্দেশের প্রেক্ষিতে দলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে ক্লাবের অনুদান নিয়ে। এক মন্ত্রীর কথায়, ‘‘খেলাধূলার মতো সামাজিক কাজকর্মে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প নিয়েছিল। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান তার সদ্ব্যহার করেনি। বরং যে সব খাতে ওই টাকা খরচ হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে, তা সন্তোষজনক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy