ফাইল চিত্র।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর অভিযোগ, তেল, গ্যাস-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামছাড়া দামের মধ্যে ফের ৮০০ ধরনের ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, বাড়তে থাকা আলুর দাম নিয়ে এ দিনই পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ছ’মাস আগে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ফের ৮০০টি ওষুধের দাম বাড়ল। এ দিন প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের উপস্থিতিতে এই নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি। বলেন, “এটা রাজনৈতিক কোনও বৈঠক নয়। তবে আমি বলব, স্বাস্থ্য-টোল-গ্যাস-পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাড়ছে। দাম কমছে শুধু সৌজন্যের!”
জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই আগুন। তার উপরে আলুর অগ্নিমূল্য নাজেহাল করে দিচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেববাবু এ দিন নবান্নে আশ্বাস দেন, হিমঘর থেকে আলু বেরোলেই দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। সরকারের আশা, আলুর দাম ১৫-২০ টাকা কিলোগ্রামের মধ্যে চলে আসবে। তা না-হলে বিষয়টি জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা জানাচ্ছেন, অতীতে একাধিক বার আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য। দাম বেঁধে দিয়েছিল নবান্ন। আলুর বেআইনি চালানদারি রুখতেও পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু এ বছর বেশ কিছু দিন ধরে অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে আলুর দামও বেড়ে চলেছে। শাসক দল তৃণমূল মূল্যবৃদ্ধির জন্য পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে দায়ী করলেও বিরোধীরা দায় চাপাচ্ছে রাজ্য সরকারেরই ঘাড়ে।
এ দিন কৃষি দফতরের দাবি, এ বার আলুর ভাল ফলন হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ ছাপিয়ে যাচ্ছে চাহিদাকে। সাধারণত ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন চাহিদার জায়গায় আলুর ফলন হয়েছে প্রায় ১৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রশ্ন উঠছে, তবু দাম কমছে না কেন?
জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “হিমঘর-মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সেখান থেকে আলু বার করার সময় এখনও হয়নি। হিমঘর থেকে আলু বেরোলে দামও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আশা করা যায়। দাম এতটা বাড়ারও কথা নয়। আশা করছি, শীঘ্রই তা কমবে।” দফতরের খবর, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাব থেকে আলু আসছে। ফলে এমনিতেই তার দাম কমতে শুরু করবে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, আলুর ক্ষতির জন্য কৃষকদের বিমার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কমবেশি এক লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার কৃষক প্রায় ১১২.৮৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। ইতিমধ্যেই অন্তত ৯৫ হাজার কৃষক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬৩.৭৭ কোটি টাকা পেয়েও গিয়েছেন।
হাওড়ায় বিজেপির কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্য সরকার পেট্রল ও ডিজ়েলে সেস কমিয়ে দিয়েছে। এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করুন, ‘উত্তরপ্রদেশের মতো ডিজ়েলে ১২ টাকা ও পেট্রলে ১০ টাকা কমিয়ে দেব।’ তখন ওঁর সমস্ত কথার উত্তর দেব। উনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য থেকে বাড়তি দু’হাজার কোটি টাকা তুলে ওঁর লক্ষ্মীর ভান্ডার, খেলা-মেলা-লীলা ইত্যাদিতে বিতরণের ব্যবস্থা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy