ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু।
জোড়া তদন্তের ব্যবস্থা হয়েছিল। তার একটিতে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পিছনে কয়েক জন কর্তা বা আধিকারিকের প্রশাসনিক গাফিলতির সন্ধান পেয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল। তবে সেই গাফিলতির সঙ্গে ইচ্ছাকৃত অপরাধের মানসিকতা কাজ করেছে কি না, কলকাতা পুলিশ তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের সেই রিপোর্ট পেলে তবেই ‘অভিযুক্ত’ অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চূড়ান্ত সুপারিশ করবেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।
মাঝেরহাটে সেতু বিপর্যয়ের পরেই দ্বিমুখী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক দিকে তদন্ত চালিয়েছে মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক কমিটি। দ্বিতীয় তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, প্রথম তদন্তের রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে। কোন আধিকারিকের কাছে মাঝেরহাট সেতুর সংস্কার সংক্রান্ত ফাইল কত দিন আটকে ছিল, ফাইলে সুপারিশের ধরন, সুপারিশ অনুযায়ী কাজ শুরুতে বিলম্ব হয়েছে কি না— সবই এসেছে অনুসন্ধানের আওতায়। সব দিক বিবেচনা করে ‘অভিযুক্ত’ কর্তাদের তালিকা তৈরি করেছে অনুসন্ধান কমিটি। কিন্তু তাদের রিপোর্ট এখনই প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। কেন? আধিকারিকদের একাংশের দাবি, পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার আগে কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। পুলিশের রিপোর্ট পেলে এক বারেই পদক্ষেপ করা হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
‘‘অভিযুক্ত আধিকারিকদের নাম এখনই জানিয়ে দিলে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠতে পারে। তাই পুলিশের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে,’’ বলেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। পূর্ত দফতরের একাংশের বক্তব্য, ভেঙে পড়ার অনেক আগেই ওই সেতু সংস্কারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। দরপত্র ডেকে ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়াও এগিয়ে গিয়েছিল অনেকটা। কিন্তু কাজের বরাত দেওয়ার অনুমতি আটকে ছিল অর্থ দফতরে। সেটাও তদন্তের আওতায় আসা উচিত। কিছু প্রশাসনিক কর্তার দাবি, গোটা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত সকলকেই অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুছে গেল রাজনীতির ভেদাভেদ, মহানবমীর রাতে ধুনুচি নাচে মাতলেন অধীর ও সুমিত্রা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy