পুজোর মুখে অবশেষে হাল ফিরতে চলেছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের।
কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলির সংযোগকারী এই সড়ক নিয়ে অভিযোগ ছিল বিস্তর। চালকদের বক্তব্য, নামেই এক্সপ্রেসওয়ে। গতি তুলতে গেলেই পদে পদে হোঁচট খায় যানবাহন। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, হাল ফিরুক কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের। কিন্তু ছ’লেনের হবে, এই যুক্তিতে রাস্তা মেরামতি হয়নি। রাস্তা সারানোর আবেদন পৌঁছেছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। শেষ পর্যন্ত তাঁরই নির্দেশে পদক্ষেপ শুরু হল।
রাজ্য হাইওয়ে উন্নয়ন পর্ষদ আপাতত পূর্ত দফতরকে ওই রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব দিয়েছে। এই কাজে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা। আপাতত পুজোর আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তার খানা-খন্দ বোজানো হবে। বুধবার থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। পুজো মিটে গেলে শুরু হবে পূর্ণাঙ্গ মেরামতির কাজ। মোট ৩০ কিলোমিটার রাস্তার গোটা অংশে পিচের কাজ হবে।
সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে কাঁচরাপাড়ার কাঁপা মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত। ব্যারাকপুর এবং কল্যাণী শিল্পাঞ্চলের প্রসারের জন্য বণিকমহল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তা সম্প্রসারণের দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু, সেই কাজ শুরু করা যায়নি। বণিকমহলের যুক্তি ছিল, দু’লেনের এই সড়ক সম্প্রসারিত না হলে কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহণ সহজ হবে না।
এই রাস্তা দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য হাইওয়ে উন্নয়ন পর্ষদের। বছর দেড়েক আগে রাস্তাটি ছ’লেনের জন্য সরকারের সবুজ সঙ্কেত পায়। কিন্তু সেই কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। এ দিকে, বর্তমান সড়কের হাল দিন দিন খারাপ হলেও শুরু হয়নি তার মেরামতি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, পুজোর আগে সব রাস্তা সংস্কার করতে হবে। সেই সূত্রেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মেরামতির কাজ রাজ্য হাইওয়ে উন্নয়ন পর্ষদ নিজেরা করবে না। তার ভার দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরের ব্যারাকপুর ডিভিশনকে।
ব্যারাকপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মোট ৭ কোটি ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বুধবার থেকেই খানা-খন্দ বোজানোর কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে পুরো রাস্তায় নতুন করে পিচের কাজ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy