করকমলে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল মেদিনীপুর শহরের কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠে মঞ্চ বাঁধা শুরু হয়েছে। মূল সভামঞ্চ তৈরির আগে বৃহস্পতিবার ভূমি পুজো করল বিজেপি। পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
মাঠে ধান কাটছেন কৃষক। তাঁর মুখ খুশিতে ভরা। এমন ছবি দেখা যেতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভামঞ্চে।
বিজেপি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চ সাজানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এক শিল্পীকে মঞ্চের নকশা জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ, শুক্রবারের মধ্যেই ওই নকশা জমা পড়ার কথা। সভামঞ্চের পিছনে ফ্লেক্সে এই কৃষিজমি এবং কৃষকের ছবি থাকতে পারে। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় মানছেন, “আমাদের ফোকাস কৃষি এবং কৃষকই।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী নকশা হচ্ছে। সবদিক দেখে পরিকল্পনা করা হবে।”
সভামঞ্চের কাজ দেখতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের কলেজ- কলেজিয়েট স্কুল মাঠে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “মেদিনীপুর শস্যশ্যামলা জায়গা। মোদী সরকার কৃষকদের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষকের অধিকার নিশ্চিত করেছে। সভামঞ্চে এর ছোঁয়া থাকবেই।”
বিজেপি সূত্রের খবর, মূল সভামঞ্চটি ৪৩২ বর্গফুটের হতে পারে। ওই মঞ্চেই বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য এই পরিকল্পনার চূড়ান্ত ছাড়পত্র মেলেনি। মূল মঞ্চের পাশে আরেকটি মঞ্চও হওয়ার কথা। যেখানে দলের কেন্দ্র ও রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব থাকবেন।
ধান সহ ১৪টি খারিফ শস্যের সহায়কমূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভা। এর জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানাতে ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে সভা করছে বিজেপি। ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশ’- এ উপস্থিত হয়ে অভিনন্দন গ্রহণ করার কথা মোদীর।
নাম কৃষক কল্যাণ সমাবেশ। তাই মোদীর সভায় পরতে পরতে থাকবে কৃষি অনুসঙ্গ। বিজেপি সূত্রের খবর, অনেক ফ্লেক্সে কৃষিজমি এবং কৃষকের ছবি থাকবে। বেশির ভাগ ফ্লেক্সের উপরে লেখা থাকবে, ‘সুখী কৃষক, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র’।
পাশে থাকবে নরেন্দ্র মোদীর ছবিও। বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, “মেদিনীপুর শস্যশ্যামলা জায়গা। কেন্দ্রের ওই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। ফলে, কৃষি জমি এবং কৃষকের ছবি রাখা তো স্বাভাবিক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy