পদচ্যুত নদিয়ার তৃণমূল সহ-সভাপতি
বিজেপি-তে গেলে দলীয় কর্মীদের তাড়াতাড়ি যাওয়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সোমবার হুগলির পুরশুড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা বিজেপি-তে যেতে চান, তাঁরা তাড়াতাড়ি যান। না হলে ট্রেন ছেড়ে দেবে।’’ ঘটনাচক্রে তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নদিয়া জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের প্রাক্তন বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে। পদচ্যুত নেতা পার্থসারথি অবশ্য দাবি করেছেন, কেন তাঁকে এমন ভাবে সরানো হল তা তিনি জানেন না।
দল তাঁকে পদ থেকে সরালেও, পার্থসারথি নিজেকে তৃণমূলের এক জন কর্মী হিসেবেই দাবি করেছেন। এই মুহূর্তে তিনি রানাঘাট পুরসভার প্রশাসকের পদে। তৃণমূল সূত্রের খবর, সহ-সভাপতির পদ থেকে অপসারণের পর তাঁকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুর দফতর দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। পার্থসারথির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘চিঠিতে লেখা হয়েছে আমাকে দলবিরোধী কাজের জন্য সরানো হল। কিন্তু তার উল্লেখ করা হয়নি। এ ভাবে সরানোর আগে অত্যন্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য শোকজ করা উচিত ছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি।’’
নদিয়া জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রাক্তন বিধায়ক পার্থসারথি বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলে জানতে পেরেছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু নেতা-কর্মীদেরও তিনি বিজেপি-তে যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। সে কারণেই দলীয় পদ থেকে রানাঘাটের এই নেতাকে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, যাঁরা বিজেপি-তে যোগদানের বিষয়ে মনোস্থির করেছেন, দল আর এমন কাউকে রেয়াত করতে রাজি নয়। তাই পার্থসারথির বিরুদ্ধে এ বার ব্যবস্থা নিতে চলেছে নদিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। গত শুক্রবারই দলবিরোধী মন্তব্যের জেরে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, বিদ্রোহী নেতানেত্রীদের আর রেয়াত করবে না তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy