ভাটপাড়ার বিজেপি প্রার্থী আর কে হান্ডার হয়ে প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সোমবার কাঁকিনাড়ায়। —নিজস্ব চিত্র
পশ্চিমবঙ্গে সেই ১৯৭২ সাল থেকে সংখ্যালঘু গরিব মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা চলছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি-র রাজ্যসভা সাংসদ এবং মুখপাত্র এম জে আকবর।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন কিছু দিন আগে অ্যাসোসিয়েশন স্ন্যাপ, গাইডেন্স গিল্ড এবং প্রতীচী ট্রাস্টের সমীক্ষার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তার ভিত্তিতে সোমবার কলকাতায় দলের রাজ্য দফতরে আকবর বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের ৮০% মুসলিম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম তাঁদের ভোট নিয়ে সরকারে এসেছে। তার পর তাঁদের ছুড়ে ফেলেছে। এটা অপরাধ। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী বা সীতারাম ইয়েচুরি— কেউ বিষয়টা তোলেন না।’’
আকবরের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বার সকলের উন্নয়ন এবং চাকরির উপরে জোর দিচ্ছেন। কারণ দারিদ্র্য দূরীকরণই তাঁর লক্ষ্য। অথচ, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিতে পারছেন না। আকবের কথায়, ‘‘এখানে সড়ক, উড়ালপুল হচ্ছে। কারণ তাতে সিন্ডিকেটের লাভ হয়। কিন্তু চাকরি দিলে তো সিন্ডিকেটের লাভ হয় না! তাই বেকারদের চাকরি হচ্ছে না।’’ গরিবের বিরুদ্ধে যারা চক্রান্ত করেছে, ভোটে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত বলে আকবরের অভিমত।
ভাটপাড়ার বিজেপি প্রার্থী আর কে হান্ডার প্রচারে এ দিন কাঁকিনাড়ায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে মানুষ পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু আসলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এখানে কোনও শিল্প হয়নি। শুধু বোমার কারখানা চলছে।’’ ওই শিল্পাঞ্চলে তাঁদের প্রার্থী জয়ী হলে কারখানা খোলার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন রাজনাথ।
বিজেপি-র নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে শিশুদের ব্যবহার করায় কয়েক দিন আগে তা সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এ বার বিজেপি-র সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ খতিয়ে দেখে তৃণমূলের একটি নির্বাচনী বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিল কমিশন। ওই বিজ্ঞাপনেও তৃণমূল ১৪ বছরের নীচের শিশুদের ব্যবহার করেছিল।
হাওড়া উত্তরের বিজেপি প্রার্থী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তের সঙ্গে দেখা করে সন্ত্রাস এবং টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের বিরুদ্ধে। রূপা বলেন, ‘‘মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy