রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গে দু’টি সভা করেছিলেন। এ বার ভোট-পর্বের মাঝে পুরুলিয়ার ঝালদায় সভা করতে আসছেন রাহুল গাঁধী। তাঁর ওই সমাবেশ ঘিরে উজ্জীবিত রাঢ় ও দক্ষিণবঙ্গের কংগ্রেস। ঝালদা-২ ব্লকে আজ, মঙ্গলবার রাহুলের সভায় বিপুল ভিড় হবে বলে আশাবাদী কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র-সহ দলের প্রথম সারির প্রায় সব রাজ্য নেতারই আজ পুরুলিয়ায় থাকার কথা।
ঝালদা-২ ব্লকের বামনিয়ায় টালি সেন্টার ময়দানে প্রস্তুতি দেখতেই সোমবার ভিড় জমান বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্র চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘুরে ঘুরে সভা করছেন। দু’জনেরই পুরুলিয়ায় আসার কথা। তবে তাঁদের আগেই এই জেলায় কংগ্রেসের ‘খাস তালুক’ বলে পরিচিত ঝালদা-২ ব্লকে রাহুলের সমাবেশ দলের উৎসাহ বাড়িয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের কমিউনিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অমিতাভ চক্রবর্তী সমাবেশের প্রস্তুতি দেখভাল করছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি-তৃণমূল তরজা চালিয়ে যে মেরুকরণের চেষ্টা করছে, তার বাইরে মানুষের জীবনের প্রকৃত সমস্যার দিকে কংগ্রেস নজর দিতে চায়। গরিবের জন্য ‘ন্যায়’ প্রকল্প, একশো দিনের কাজ বাড়িয়ে ১৫০ দিন করা— ইস্তাহারে থাকা এই ঘোষণাগুলি মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুরুলিয়ার কংগ্রেস প্রার্থী তথা জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতোর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল, তখন দেবেন মাহাতো ছিলেন এখানকার সাংসদ। পুরুলিয়ার মানুষ জানেন, সেই সময় এই জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছিল। দেশে কংগ্রেস সরকার তৈরি হলে পুরুলিয়া কেন্দ্রও দলের সঙ্গে থাকলে সে ভাবেই উন্নয়নের কাজ হবে।’’ তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিলেও পরে বিভিন্ন ব্লকে বিজেপির নির্বাচিত সদস্যেরা তৃণমূলেই যোগ দিয়েছেন। তাই মানুষ কংগ্রেসের উপরে ভরসা করছেন। নেপালবাবুর দাবি মানতে চাননি তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy