প্রতীকী ছবি।
দোলের পর থেকেই পর্যটকদের ভিড় জমতে থাকে দার্জিলিং আর সিকিমে। পর্যটনের সেই মরসুম গরমের ছুটি পেরিয়ে চলে জুন মাস পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এই তিন মাসই তাদের আয়ের প্রধান সময়। কিন্তু পর্যটনের সেই ভরা মরসুমেই লোকসভা ভোট হতে চলায় ব্যবসায়ীদের অনেকের কপালেই পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। যদিও ভোটের সময় পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের যাতে কোনও রকম হয়রানি না হয়, তার জন্য বুধবার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ভোটের সময় কোনও সমস্যা হলে তার সরাসরি প্রভাব ব্যবসায় পড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত বুকিং বাতিল না হলেও অনেকেই ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন বলে জানান তাঁরা। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই বুধবার থেকে পর্যটকদের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর (০৩৫৪-২২৫৬৩৫৬) চালু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। এই হেল্পলাইনের জন্য আলাদা করে কন্ট্রোল রুমও তৈরি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানান, ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন চালু থাকবে। পর্যটকদের সহায়তার জন্য দু’টি বাইক ও একটি ভ্যান নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি বিশেষ বাহিনী। ফোন পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস পুলিশ সুপারের।
১৮ এপ্রিল হয়ে যাবে দার্জিলিংয়ের ভোট। ২৩ এপ্রিল গোটা উত্তরবঙ্গেই শেষ পর্বের ভোট। সিকিমেও ভোট হবে ১১ এপ্রিল। পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা ভোটের সময় বা তার পরে ঝামেলা হতে পারে ভেবে অনেকেই এ বার পাহাড়ে আসা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি, ভোটের সময় পাহাড়ে ও লাগোয়া এলাকায় গাড়ির বন্দোবস্ত করতেও সমস্যা হতে পারে বলে ভাবছেন ব্যবসায়ীদের অনেকেই। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাশিস মৈত্র জানিয়েছেন, ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসন বহু গাড়ি নিয়েছে। আরও গাড়ি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জোগান কমলে গাড়ি মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারেন বলেও ট্যুর অপারেটরদের একাংশ মনে করছে। দেবাশিস বলেন, ‘‘ভোটের ফলে এ বার ব্যবসায় কমবেশি ক্ষতি হবেই।’’ পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ২০১৭ সালে বিমল গুরুংদের আন্দোলনের জন্য পাহাড়ে পর্যটন ব্যবসা জোর ধাক্কা খায়। তার পরে দীর্ঘ চেষ্টায় ২০১৮ সালে তা কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি লিফলেট তৈরি হয়েছে। সেখানে সরকার অনুমোদিত ভাড়ার তালিকা দেওয়া আছে। কোনও চালক তার চেয়ে বেশি নিলে পর্যটকরা হেল্পলাইনে ফোন করে তা জানাতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দার্জিলিংয়ের ট্যাক্সি চালক, হোটেল মালিকদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেছি। পর্যটকদের সঙ্গে প্রশাসন বা পুলিশের সংযোগ তৈরি আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy